নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্যটন নগরী কক্সবাজরের হোটেল-মোটেল জোন ও পৌরসভাস্থ ১২নং ওয়ার্ডের পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ‘আবর্জনা সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রম’র জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) সন্ধ্যা ৭ টায় কক্সবাজার কলাতলীস্থ অভিজাত একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংগঠনের সভাপতি কাজি মুর্শেদ আহমেদ বাবুর সভাপতিত্বে এ সভায় আবর্জনা অপসারণ ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে যথা সময়ে মজুরী প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় কিছু সংখ্যক শ্রমিক ও কর্মচারী পালিয়ে যাওয়ায় কাজের বিঘ্ন ঘটে বলে আলোচনায় উঠে আছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, ঠিকাদারের সাথে চুক্তিকৃত মাসিক ৭ লক্ষ টাকা, সংগঠনের কর্মকর্তার বেতন ও অফিস ভাড়াসহ মোট ব্যয় হয় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন, ১৫৩৫টি ছোট বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ৯ লক্ষ টাকা মজুরী ধার্য্য করে কার্যক্রম শুরু করা হলেও কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী প্রায় ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ৮ শ ৯০ টাকা ন্যায্য মজুরী বকেয়া রেখেছেন। একারণে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয় নাই। ইতিমধ্যে আদায়কৃত সমুদয় টাকা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মজুরীসহ পরিচ্ছন্নতা খাতে ব্যয় হয় বলে তিনি জানান।

পুনরায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করে ৩ দিনের মধ্যে ১২নং ওয়ার্ডের সকল অলিগলির পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করবেন মর্মে সভায় ঠিকাদারগন অঙ্গীকার করেন।
সংগঠনের কর্মীরা বকেয়া মজুরী আদায়ের জন্য প্রতিটি বকেয়াকৃত প্রতিষ্ঠানে যাবেন ও যে সব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন মজুরী প্রদানে অনীহা প্রকাশ করবে, তাদের তালিকা জেলা প্রশাসক ও মেয়র বরাবর প্রেরণ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংগঠনের কার্যক্রম তরান্বিত করার জন্য অফিস ভাড়া নেওয়া হবে এবং কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় কার্যকরি কমিটির সভা অব্যাহত থাকবে এবং গৃহীত সব সিদ্ধান্ত শীঘ্রই কার্যকর করা হবে বলেও জানান বক্তারা।
এ আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল কাশেম সিকদার, সদস্য মুকিম খান, বাবুল সিকদার, ফোরকান আহমেদ, কামরুল ইসলাম ও মোঃ আনিছুজ্জামান প্রমুখ।