গত ১৭ ফেব্রুয়ারী দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশের প্রথম পৃষ্টায় ‘নির্যাতনে প্লট পাহারাদারের হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে*মুনিয়া বাহিনীর অবিরাম প্লট দখল * নেপথ্যে বিএনপি নেত্রী হসরকারি দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, গণপূর্ত প্লটে সন্ত্রাসী মুনিয়ার টর্চার সেল’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর এবং কাল্পনিক। প্রকাশিত সংবাদে কক্সবাজার সাগর পাড়ের এক দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে পর্যটন শিল্পে এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসী বাহিনীটি সরকারি গণপূর্ত প্লট দখল করে সেখানে ‘টর্চার সেলও’ স্থাপন করেছে। টর্চার সেলে খুলনার এরশাদ সিকদার ষ্টাইলে নিরীহ লোকজনকে র্নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে টর্চার সেলে নির্মমতা চালিয়ে এক হতভাগা পল্ট পাহারাদারের হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে বলেও বানোয়াট তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
প্রকৃত পক্ষে আমি দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো প্রকার অপরাধের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। বর্তমানে আমার কয়েকটি টমটম রয়েছে এবং আমি হোটেল-মোটেল জোনের একটি ডেভলপার কোম্পানীতে চাকুরী করে সৎভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। হোটেল-মোটেল জোনে অতীতে প্রায় সময় পর্যটক ছিনতাই থেকে নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটলেও আমাদের টমটম সমিতির সদস্যরা মিলে তা প্রতিরোধ করে থাকি। যা সকলেরই জানা রয়েছে। শুধুমাত্র এ কারণেই ওই এলাকাজুড়ে একটি শক্তিশালী অপরাধ সিন্ডিকেটের চোখে আমি বিষফোড়া বনে গেছি। সংবাদে আমার একটি টর্চার সেল রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ আপনারা সরেজমিনে গিয়ে দেখুন ওখানে কোথায় টর্চার সেল রয়েছে তা। প্লট এবং ফ্লাট কারা দখল করে এবং হোটেল মোটেল জোনে কারা চাঁদাবাজি করে তা কারো কাছে অজানা নয়। আজকের দেশ-বিদেশে ৪৭ নম্বর প্লটের পাহারাদার আবদুল মালেককে আমি ডেকে নিয়ে গিয়ে একই ব্লকের ৬০ নম্বর প্লটের টর্চার সেলে নির্যাতন করার কথা বলা হয়েছে। আমার প্রশ্ন কে এই আব্দুল মালেক? এই আব্দুল মালেক হচ্ছে মাদক চিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ইয়াবা মামলা রয়েছে। এমনটি সে ইয়াবা নিয়ে আটক হবার পর বেশ কিছুদিন কারাগারেও ছিলো। সে দীর্ঘদিন ধরে কলাতলীর সৈকত পাড়া, লাইট হাউস, সুগন্ধা এলাকা সহ পুরো হোটেল মোটেল জোনে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছে। সর্বশেষ কয়েকদিন পূর্বে সে এবং তার স্ত্রী সহ সৈকত পাড়ার ৪৭ নং প্লটে থাকা তার বাসা থেকে ইয়াবা ব্যবসার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার এস আই ইমরানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি। অন্তত এই বিষয়টি তদন্ত করার প্রশাসন এবং সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। মূলত ১৭ ফেব্রুয়ারী আব্দুল মালেক প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রিকালে স্থানীয় জনগন তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করতে চাইলেই তার বাহিনী এসে তাকে ছিনিয়ে নেয়। পরে নিজের অপরাধ ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় কাল্পনিক কাহিনী সাজানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইয়াবা কারবারী আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধের দাবিতে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনকে স্বারকলিপিও প্রদান করেছিলেন ইতোপূর্বে। তারপরও তার ইয়াবা ব্যবসা থেমে নেই। পত্রিকাটিতে আব্দুল মালেককে দরিদ্র বলে উল্লেখ করা হলেও সে বর্তমানে ইয়াবা বিক্রির টাকায় কোটিপতি।
আমার বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে বলেও বলা হয়েছে প্রকাশিত সংবাদে। যা বানোয়াট। তবে দীর্ঘদিন ধরে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সৎভাবে দিনযাপন করছি। যা আব্দুল মালেকের উপর হামলার যে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে তার সঠিক তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বের হয়ে যাবে।
পরিশেষে জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ- যেখানে বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন সেখানে আপনাদের কলম যদি আব্দুল মালেকের মতো শীর্ষ ইয়াবা কারবারীর পক্ষে চলে তাহলে জাতি সত্যিই হতাশ হয়। আমি প্রকাশিত মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদের আবারও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
একইভাবে জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে কারো মানহানি না করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করার অনুরোধ করছি।

 

প্রতিবাদকারী
শাহদাত হোসেন মুনিয়া
পিতা- হাজী আবু শামা
সাং- দক্ষিণ বাহারছড়া
পৌরসভা কক্সবাজার।