নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের পূর্বখরুলিয়া সিকদারপাড়া থেকে থেকে ৭ম শ্রেনীতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে অহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এজাহারের সুত্র ধরে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকালে অভিযান চালিয়ে কফিল উদ্দিন (২৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে একই এলাকার হাফেজ আহমদের ছেলে। বাকি অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ভিকটিম খরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্তদের অধিকাংশই ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
ভিটটিমের পিতা ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় তিনি প্রতিবাদ করতেন। মাদক বিরোধী কাজে তিনি দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছেন। তাতে চিহ্নিত অপরাধী, মাদক কারবারিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। নানাভাবে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
তিনি জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে প্রাকৃতিক কাজে বাড়ি থেকে বের হলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা বখাটেরা তুলে নিয়ে যায়। এ সময় শোর চিৎকার করলেও বখাটেদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে পারি নি। ঘটনার সঙ্গে মো. আরমান এস, মিনুয়ারা বেগম, কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আরফাতসহ আরো ৪/৫ জনের মতো রয়েছে বলে তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন।
ফজলুর রহমান উৎকণ্ঠার সঙ্গে জানান, তার মেয়ে কোথায়, কোন অবস্থায় আছে, জীবিত বা মৃত কোন তথ্য তারা জানে না। নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারে উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভিটটিমের স্বজননেরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সোলতান। তিনি জানান, ১২ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে আরমান নামের বখাটে ও ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ আরো কয়েকজন সহযোগি মিলে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ভিকটিমের স্বজনেরা উৎকণ্ঠায় রয়েছে। এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খাইরুজ্জামান জানান, ভিটকিমের পিতা বাদি হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।