প্রেস বিজ্ঞপ্তি
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নে প্রথম বারের মত জাপার ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) ইনানী বিচ ক্যাফে প্রাঙ্গনে এক সভায় ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় পার্টির উখিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক এমদাদুল হক ভুট্টো ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সাক্ষরিত একটি প্রেস নোটে আবুল কালামকে সভাপতি ও বোরহান উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন, মনির আহমদ, মোঃ বেলাল উদ্দিন, বদিউল আলম, আবদুল গফুর, মোবারক উদ্দিন।

যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন -মোঃ আজিজুল হক, মোঃ রফিক, সাঈদুল ইসলাম সাঈদ, জাবেদ হোসেন।

সাংগঠনিক পদে রয়েছেন কামাল উদ্দিন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম গুরু, প্রচার সম্পাদক পদে মাহবুবুল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক পদে সালাহ উদ্দিন, শ্রম বিষয়ক পদে সম্পাদক জয় চন্দ্র চাকমা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোঃ রফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল গফুর, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাছির।

সদস্য পদে রয়েছেন, যথাক্রমে মোঃ মনিরুল আলম, মোঃ বেলাল মেম্বার,ছুরুত আলম, মোঃ কালু, নুরুল কাদের কাজল, মোঃ আবদুল্লাহ, আবুল কালাম, মোঃ রহিম উদ্দিন, আবছার মিয়া, মুহিব উল্লাহ, শহিদ উল্লাহ, আবছার মিয়া (২), কামাল উদ্দিন, ওসমান সওদাগর, কামাল, বিকাশ বড়ুয়া, হাবিব উল্লাহ ২, রিয়াজ উদ্দিন, মাহবুবুল আলম, আফাজ উদ্দিন, বদি আলম, রফিক আলম, সাহেল আলম, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলাম মনিয়া, রফিকুল আলম চৌধুরী, নাজির হোসেন, মনজুর আলম, মোঃ রফিক, ইব্রাহিম, হাফেজ মোজামেল, মোঃ রাসেল, রাহামত উল্লাহ, মোঃ আলী, শফি আলম, মোঃ দিলদার, মোঃ জুয়েল, মোঃ জসিম, মোঃ রোস্তম, রাসেল, ইউছুফ, সালামত উল্লাহ, শাহাব উদ্দিন, ইউসুফ নুর, শফি উল্লাহ, দিদার, মোবারক, আবু নাছের, নুরুল হাকিম, নুরুল ইসলাম, দিদারুল আলম, মামুন, শুক্কুর, আবদু রহিম, জিশান, মোক্তার, আকিল,সোহেল, জিয়া, কামাল উদ্দিন, মোঃ সোহেল, বিকাশ বড়ুয়া, ইম্পল বড়ুয়া, মোঃ মোবারক, মকিন, সোহেল বড়ুয়া, অমিত বড়ুয়া, শামশুল আলম কাজল, ইউসুফ আবু, নুরুল কবির, মোঃ ইসমাঈল, মোঃ বেলাল, হাদির হোসেন, রেজাউল কবির, মোঃ জুবাইর, করিম, মোঃ ওসমান (২), মোঃ ওসমান (৩), মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ সামির প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির উখিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক এমদাদুল হক ভুট্টো বলেন, দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সেনাপ্রধান থেকে ক্ষমতা দখল। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বছরের শাসন। তার শাসনামলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটে। এরশাদ সারাজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণেই কাজ করে গেছেন। লোভ-লালসার উর্দ্ধে থেকে তিনি জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন।

আগামীতে জাতীয় পার্টির সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। নিজেদের শক্তিশালী করা হবে আমাদের আগামী দিনের রাজনীতি। জনগণ কী চায়, সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে প্রতিবাদ কিংবা দাবির প্রয়োজন হবে, সেখানে সেভাবে কাজ করবেন।

সময়োপযোগী রাজনৈতিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করা হচ্ছে। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হবে ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।

উখিয়া উপজেলা শাখার সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোঃ এরশাদের হাত ধরে এ দেশে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়। দেশের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় তার রয়েছে অগ্রনী ভুমিকা। তার যোগ্য উত্তরসুরী পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের হাত ধরে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করতে অবিরত কাজ করে চলেছি। কারণ এই বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগই এরশাদের হাতেগড়া।

তিনি আরো বলেন, এ দেশে ইসলামের জন্য কেউ যদি কিছু করে থাকেন তিনি হলেন এরশাদ। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মকরণ সহ শুক্রবারকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন। মসজিদের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করেছেন এরশাদ। টিভিতে আজান প্রচারের নিয়ম করেছিলেন। উপজেলা পদ্ধতি চালু করেছিলেন। গুচ্ছগ্রামের প্রবর্তন করেছিলেন। বলেছিলেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তার শাসনামলে দুর্নীতি, ধর্ষণ, খুন, রাহজানি, প্রকাশ্যে কোপাকুপি, এগুলো দুরূহ ছিল। এইজন্য জাপাকে আরেকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও এরশাদের ৯ বছরের শাসন আমলে এরশাদ প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রভূত উন্নয়ন গঠন করেছে সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পূণরায় এরশাদের জাতীয় পার্টিকে বাংলার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন।

উক্ত অনুষ্টানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাপার যুগ্ন আহবায়ক ও টেকনাফ উপজেলার আহবায়ক মাষ্টার এমএ মনজুর আহবায়ক ও টেকনাফ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব ফেরদৌস আলম (হেলাল মুন্সি) প্রমুখ।

সভাশেষে জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয় এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।