মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক এলাকায় মাদকের পয়েন্ট থেকে ৪ যুবককে আটক করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। পলাতক রয়েছে একজন এবং অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় অপরদের। শনিবার ভোর ৫ টার দিকে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের পর্যটক পিকনিক শেড সংলগ্ন জঙ্গল থেকে তাদের আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মাদক উদ্ধার না দেখানো ও আটকদের মধ্য থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এলাকার সচেতন লোকজন জানায়, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক সীমানা এলাকা ডুলাহাজারা কলেজ সংলগ্ন জঙ্গলে প্রতিনিয়ত মাদকের হাট বসছে। এনিয়ে কোনপ্রকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছেন না আইনশৃংখলা রক্ষাকারী লোকজন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৫ টায় সাফারি পার্কের মাদকের পয়েন্ট থেকে ডুলাহাজারা (৯নং ওয়ার্ড) রংমহল কুতুবদিয়া পাহাড় এলাকার হাজী বশির আহমদের ছেলে টমটম চালক মোঃ ফরহাদ (১৮), দক্ষিণ রংমহল এলাকার কৃষি ব্যাংক ডুলাহাজারা শাখার সিকিউরিটি মোঃ হোসেনের ছেলে মোঃ রিফাত (১৯) ও একই এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে মোঃ রকিব (১৭) সহ চার যুবককে আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ সুনিল কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য বিল্লাল হোসেন তাদের আটক করে। এসময় বর্নিত ইউনিয়নের পূর্ব রংমহল এলাকার মোঃ আলহদের ছেলে আলমগীর (১৯) নামের একজনকে পলাতক দেখিয়েছে পুলিশ।
এদিন সকাল ৮ টায় আটকদের অভিভাবক ডেকে সাদা অলিখিত কাগজে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যালয়ে ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার আরো লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তবে ওই পয়েন্টে প্রতিনিয়ত মাদকের আসর বসার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ফরিদুল আলম। অপরদিকে এ ঘটনায় মাদক উদ্ধার না দেখানো ও আটকদের মধ্যে একজন পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ ব্যপারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ সুনিল কান্তি ঘোষ বলেন, ভোর ৫ টার দিকে প্রাতভ্রমণের সময় সাফারি পার্ক এলাকার জঙ্গল থেকে চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে একজন পালিয়ে যায়। আটকদের তল্লাসি করে মাদকদ্রব্য বা অন্য কোনকিছুই পাওয়া যায়নি। তাই অভিভাবকদের থেকে সাদা অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।