জহির খন্দকার, ঈদগড়:
রামু উপজেলা ঈদগড় বড়বিল ইল্ললামুরা মসজিদের দান বাক্সে লাগানো তালা-চাবি সব ঠিক থাকলেও টাকা চুরি হয়ে যায় বহুবার! সেই রহস্য ফাঁস করে দিয়েছেন ইমাম। তাই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঈদগড় বড়বিল ইল্ললামুরা মসজিদ টি বড়বিল গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার পূত্র সাহাব উদ্দিন ও মাওলানা নজির আহম্মদের পূত্র মো: আইয়াছ পরিচালনা করে থাকেন। উক্ত মসজিদে দীর্ঘ দিন ধরে হাফেজ মনিরুজ্জমান ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সম্প্রতি এলাকাবাসী মসজিদটি সংস্কারের জন্য সাহাব উদ্দিনের কাছে বিগত চার বছরের হিসাব চায়। তখন তিনি দাবি করেন, দান বাক্সের তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। কিন্তু সাহাব উদ্দীনের এই দাবি কেউ মানেনি। সকলের অভিযোগ তালা ও ভাঙ্গা হয় না চাবি ও তাদের হাতে তার পরও টাকা চুরি হয় কিভাবে? এলাকাবাসীর চাপে মুখে তিনি জানান সাহাব উদ্দিন ও মো: আইয়াছ সপ্তাহে ৩/৪ বার রাতের অন্ধকারে দান বাক্সের টাকা নিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি।
ইমাম মনিরুজ্জমান টাকা চুরির রহস্য ফাঁস করে দেওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারী ইমামের দায়িত্ব থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সাহাব উদ্দিনে পূর্বে মসজিদটি পরিচালনা করা একই গ্রামের মাওলানা নজির আহম্মদ এর পূত্র আইয়ুব জানান, তার আমলে প্রতি মাসে ২০/২৫ হাজার টাকা দান বাক্সে পাওয়া যেত। ওই বিশাল অংকে চাদার টাকা দিয়ে মসজিদ টি নির্মাণ করা হয়েছিল। এখনও একই পরিমান চাদা মানুষ দান করেন বলে তিনি দাবী করেন।

বর্তমানে মসজিদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন খন্দকার পাড়া গ্রামের মৃত নাজির হোসনের পূত্র আব্দু ছালাম তিনি দাবী করেন, মসজিদটি প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে যারা দায়িত্ব পালন করেছে তারা সবাই কৌশলে টাকা আত্মসাৎ করেছে।
অভিযুক্ত সাহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি পরিচালক হলেও দান বাক্সের চাবি কমিটির সদস্য মো: আইয়াছ এর কাছে থাকত। সে যেভাবে হিসাব দিত আমি সেভাবে লিখে রাখতাম। ইমামকে চাকরিচ্যুত করার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, ইমাম সাহেব নিজেই দান বাক্সের টাকা চুরি করে তাই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বড়বিল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামশুল আলমের পূত্র নুরুল আমিন দাবী করেছেন, দান বাক্সের টাকা কেউ চুরি করে নাই যাদের হাতে চাবি ছিল তারাই কৌশলে আত্মসাৎ করেছে। বর্তমানে মসজিদ পরিচালনার বিষয়টি হ-য-ব-র-ল অবস্থায় আছে। এলাকাবাসী বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেছেন।