আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া
আসন্ন উপজেলা বিএনপি’র কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্যতার সৃষ্টি হয়েছে। শীর্ষ দু’টি পদ দখলের লড়াইয়ে উপরের নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ ও আর্শিবাদ সহ তৃণমূলের সমর্থণ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পদ প্রত্যাশীরা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ১০টায় কুতুবদিয়া সরকারি কলেজ রোড় সংলগ্ন ইলহাম কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ।

প্রায় দশ বছর পর কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি’র কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত উপজেলা কমিটি সক্রিয় ছিল। এরপর ২০১৯ সালে (১৫ জুলাই) সাবেক সভাপতি ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ আহবায়ক, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদল নেতা এমএ সালাম কুতুবীকে সদস্য সচিব করে ৪৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি। দুই মাসের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হলে, উক্ত কমিটি ইতিমধ্যে ৬টি ইউনিয়ন ও ৫৩ টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন সম্পন্ন করেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পর কমিটি গঠনের খবরে নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জেলা ও সিনিয়ার নেতা-কর্মীদের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন পদ প্রত্যাশীরা। সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত বর্তমান আহবায়ক ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ’র কোন প্রতিদ্বন্দীর দেখা না মিললেও সাধারন সম্পাদক পদ নিয়েই উপজেলা ব্যাপী নেতা-কর্মীরা আলোচনায় সরগরম করে তুলেছেন।

বর্তমান আহবায়ক জালাল আহমদ, বরাবরের মত জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন । দলের চরম দূ:সময়ে নেতা-কর্মীদের আগলে রেখে ঠিকই নিজের জনপ্রিতার ধারা অব্যহত রেখেছেন তিনি। রাজনৈতিক মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে সর্বদা নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে সাহস যুগিয়ে চলেছেন তিনি। যে কারনে তিনি এবারও নিরঙ্কুষ ভাবে সভাপতি হতে চলেছেন এটাই ধারনা সর্বস্তরের।

দলের অপর গুরুত্বপূর্ণ সাধারন সম্পাদক পদের লড়াইয়ের দিকেই মূলত চেয়ে আছে নেতা-কর্মীরা এবং এ পদ নিয়েই অনেক জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি। একটি পদের বিপরীতে প্রায় তিন জন নেতা দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছে অনেক নেতাই। এ দৌড়ে ছুটে চলেছেন

কক্সবাজার জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম. মোবারক হোছাইন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী,উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এমএ সালাম কুতুবী।

তবে সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থীরা তাদের স্ব-পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের পাশাপাশি তৃণমূলের মতামতে নির্বাচিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।

নেতৃত্বভার নতুন কারও হাতে উঠবে নাকি আগের নেতৃত্ব বহাল থাকবে-সেসব বিষয়কে আমলে না নিয়ে মূলত একটি সফল সম্মেলন করার জন্য কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী,সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এম. মোবারক হোসাইন,কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ, সদস্য সচিব এমএ সালাম কুতুবী রাত-দিন একাকার করে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তেচষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে

গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের সাথে দফায় দফায় মিলিত হয়ে সফল একটি সম্মেলন উপহার দিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

এদিকে উপজেলা বিএনপি’র এবারের সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা একটি সফল সম্মেলনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সুষ্ঠু রাজনীতি চর্চার জন্য সম্মেলন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই-দাবি করে এসব নেতাকর্মীরা জানান সম্মেলন দলকে যেমন সুসংগঠিত করে তেমনী কর্মী সমর্থক ও নেতাদেরকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি দায়িত্ব সচেতন করে।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল বলেন, শান্তি পূর্ণভাবে সম্মেলন সম্পন্ন করতে আমরা চেষ্টা করছি। সম্মেলন সফল করতে সব প্রকার প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল নিয়ে সরগরম কুতুবদিয়া রাজনৈতিক অঙ্গণ। তবে তৃণমূল বিএনপি চায় তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। নেতা নির্বাচনে গতানুগতিক পন্থায়ক মিটিংএ নয়, সরাসরি কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে হোক এটাই তাদের প্রত্যাশা।