মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলায় অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে শুকনো মরা গাছ। যেকোনো সময় যানবাহন ও পথচারীদের উপর পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গেইট থেকে ডুলাহাজারা ডিগ্রী কলেজ পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার মহাসড়কের উভয় পাশে রয়েছে বেশকিছু সংখ্যক মরা গাছ। উল্লেখ্য এ মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে কলেজ, স্কুল, মাদরাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ গাছগুলো প্রায় পড়ন্ত অবস্থায় খাড়া হয়ে থাকায় যেকোন সময় যানবাহন বা পথচারীর মাথায় পড়ে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা রিপন সওদাগর জানায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়া-আসার একমাত্র সড়ক এটি। ব্যস্ততম এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসসহ হরেকরকম যানবাহন। মহাসড়কের উভয় পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের রোপণ করা বেশকিছু গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। এগুলো পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় যুবক শাহাব উদ্দিন ও দোকানদার আবদুল আজিজ জানায়, মহাসড়ক কিনারায় এসব মরাগাছ বাতাসে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতিসহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া মানুষজন বা যানবাহনের উপর গাছগুলো পড়লে প্রাণহানিও আশঙ্কা রয়েছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব এসব শুকনো গাছগুলো অপসারণ করা দরকার।
ডুলাহাজারা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ব্যাস্তততম এ মহাসড়কের সৌন্দর্য, ছায়াশীতল ও প্রকৃতির শোভা বর্ধনে সরকারিভাবে গাছগুলো রোপণ করেছিল। তবে বর্তমানে দেখা যায় আমাদের কলেজ গেইটসহ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে এসব গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। খাঁড়া হয়ে থাকা গাছ পড়ে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা গাছগুলো কাটা শুরু করে দিয়েছি। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন আমাদের কাজে বাধা প্রদান করছে। তারপরও জনস্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।