নিউজ ডেস্ক:
অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিদ্যমান কিছু সামাজিক অভিশাপের বিরুদ্ধে সতর্ক নজর রাখার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “সরকার এসব সামাজিক অভিশাপ নির্মূল করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবে। সমাজে মাদক, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির মতো কিছু সামাজিক অভিশাপ রয়েছে। আমি এসব বিষয়ে আপনাদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পৃথিবীর যেখানে কাজ করেছে সেখানেই সুনাম অর্জন করেছে। মানবিক সেবা দিয়ে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় মানুষের হৃদয় জয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ২০১৯-২০ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

সমাজের বিদ্যমান অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান পরিচালনায় সরকারের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। অপরাধবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। সমাজকে রক্ষার জন্য এ ধরনের অভিশাপ নির্মূল করা জরুরি। কারণ আমরা আমাদের সন্তানদের জীবন ধ্বংস করার কোনো সুযোগ দিতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে পুরো বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারে তেমনই একটি আধুনিক ও সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। তরুণদের মেধা, জ্ঞান এবং শক্তি দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে চায় সরকার।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীকে এমনভাবে উন্নত করতে চাই, যাতে তারা যেকোনো দেশে যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্তি রক্ষায় কাজ করে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পৃথিবীর যেখানে কাজ করেছে সেখানেই সুনাম অর্জন করেছে। মানবিক সেবা দিয়ে বিভিন্ন দেশে স্থানীয় মানুষের হৃদয় জয় করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’

অনুষ্ঠানে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কম্যাডেন্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ স্বাগত বক্তৃতা রাখেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২৫ জন, নৌ বাহিনীর ৩৪ জন এবং বিমান বাহিনীর ২২ জন ছাড়াও ২১ দেশ থেকে আগত ৫৪ জন বিদেশি অফিসারসহ মোট ২৩৫ জন শিক্ষার্থী এ বছর এ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।

উল্লেখ্য, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্য পর্যায়ের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের কমান্ড স্টাফ হিসেবে ভবিষ্যতের গুরুদায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গ্র্যাজুয়েশন করা অফিসারদের হাতে সনদ তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসওসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।