রকিয়ত উল্লাহ

বর্তমানে বাংলাদেশের আলোচিত এক স্থানের নাম মহেশখালী। দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসে মহেশখালী। কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে আবার নির্মিত হচ্ছে মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর। একদিকে যেমন উন্নয়নের জন্য উল্লাস অন্যদিকে অপরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য হতাশ মহেশখালীবাসী।
অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি কাজ করতেছে। তারা তাদের জমি দিয়েছে উন্নয়নের জন্য। সে উন্নয়ন যদি পরিকল্পিত হয় তাহলে মহেশখালীর মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হয়ে যাবে।কিন্তু জমি অধিগ্রহণের ফলে অনেকেই বেকার হয়ে গেছে তাদের কর্ম হারিয়ে ফেলছে। যদি ও মহেশখালীর জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কাজ করা যায় তাহলে মহেশখালীর পাশাপাশি মহেশখালীর জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। কিন্তু মহেশখালীতে যতগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে সেগুলো যদি মহেশখালীর মানুষের উপর বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করলে উন্নয়নের পাশাপাশি মহেশখালী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। জমির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, বেকারত্ব দূর,পাহাড় কাটা রোধ, বনায়ন রক্ষা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে প্রকল্প গুলো পরিকল্পিত ভাবে বাস্তবায়ন হয় তাহলে মহেশখালী সিঙ্গাপুরে রূপান্তর হবে।পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আমাদের মাননীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা। তাই তাদের দোষারোপ না করে কিভাবে মহেশখালীকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এটা আমার, আপনার সকলের দায়িত্ব।

রকিয়ত উল্লাহ,বিবিএ অনার্স, এমবিএ (হিসাববিজ্ঞান)
ও এলএলবি শেষ বর্ষ