সিবিএন ডেস্ক
মানুষের রঙ ফর্সাকারী প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এমন বিজ্ঞাপন প্রচার করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ইতোমধ্যে একটি খসড়া বিলের প্রস্তাব করেছে দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ফর্সা হওয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে (আপত্তিজনক বিজ্ঞাপন আইন, ১৯৫৪) একটি খসড়া বিলের প্রস্তাব করেছে। এই ধরনের ওষুধেরও কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অথচ ওই সব আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে সাধারণ মানুষ টাকা খরচ করে ওষুধ কিংবা ক্রিম কিনে থাকে।

বর্তমান আইন অনুসারে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিলে জরিমানাসহ ৬ মাসের জেল অথবা যে কোনও একটি শাস্তি হবে এবং দ্বিতীয়বার একই বিজ্ঞাপন দিলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু এই লঘু শাস্তির বিধান থাকাই ক্রমশই বাড়ছে এই ধরনের বিজ্ঞাপন। এজন্য বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে শাস্তির মাত্রা বাড়াতে চায় ভারত সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সময় ও প্রযুক্তির পরিবর্তনকে মাথায় রেখে এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংশোধনী প্রস্তাবে বিজ্ঞাপনের সংজ্ঞার পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। এতে ওষুধ-প্রসাধনী বা এ জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনে তালিকাভুক্ত ৭৮টি রোগ-ব্যাধির নাম উল্লেখ না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রস্তাবিত বিলে আরও বলা হয়েছে, যৌন উত্তেজনাবর্ধক কোনও ওষুধের বিজ্ঞাপন, ফর্সা হওয়ার ক্রিম, হেয়ার কালার, বন্ধ্যাত্ব দূর করার ওষুধ, এইডস ও আনুষঙ্গিক রোগের ওষুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। কোনও তারকা এই বিজ্ঞাপন করলে অথবা সেই পণ্য বা পরিষেবায় কোনও গলদ দেখা গেলে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রথমবার অপরাধ করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা দুই বছরের কারাবাস কিংবা দু’টাই হতে পারে। দ্বিতীয় বার অপরাধ করলে শাস্তির পরিমাণ বেড়ে হবে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা ও পাঁচ বছরের জেল।