মহেশখালী প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী সোনাদিয়ার পশ্চিমে বারভিউ নামক স্থানে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ডাকাতির শিকার হয়েছে মহেশখালীর মাছ ধরার ৫টি ফিশিং ট্রলার। এ সময় জলদস্যুরা পৃথক ভাবে ৫ ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে মাছ,তৈল, মোবাইল ও ট্রলারে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জাকাতি করে নিয়ে যায়। এসময় ট্রলারের মাল্লাদের মারধর করে মেশিন বিকল করে করে চলে যায় দস্যুরা। ৪ ফ্রেরুয়ারী রাত ৮ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে বারভিউ নামক স্থানে মাছ ধরা অবস্থায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

জলদস্যুদের কবলে পড়া মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা এলাকার এফবি মায়ের দোয়ার মালিক মোহাম্মদ জালাল বলেন, ১৩ জন মাল্লা নিয়ে মাঝি রাহমত আলী সাগরে মাছ ধরতে যায়। বারভিউ নামক স্থানে মাছ ধরা অবস্থায় দস্যুরা ট্রলারের মেশিন নষ্ট করে দিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার মাছসহ তৈল , মোবাইল ও প্রয়োজনীয় জিসিমপত্রসহ প্রায় সাড়ে লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও এসময় জলদস্যুরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মাছ,মোবাইল, ও বোটে থাকা অন্যান্য সরঞ্জামাদি জাকাতি করে নিয়ে যায় মহেশখালী পৌরসভার দক্ষিন ঘোনাপাড়ার আবদুল জলিলের মালিকানাধিন এফবি জিসান-২, মহেশখালী পৌরসভার ঘোনাপাড়ার ছলিম উল্লাহ’র মালিকানাধিন এফবি মায়ের দোয়া, বড় মহেশখালী আবু তাহের এবং আনছারের মালিকানাধিন এফবি মায়ের দোয়া ও কুতুবজোমের নুরুল আবছারের মালিকানাধিন এফবি মায়ের দোয়া সহ ৫ ট্রলার থেকে প্রায় ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ট্রলার মালিক ছলিম উল্লাহ ও মোহাম্মদ জলিল জানান, সাগরে এভাবে ডাকাতি হলে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। জলদস্যুরা তাদের দু ট্রলার থেকে মাছসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

মহেশখালী রুপচান্দা ফিসিং বোট মালিক সমিতি সদস্য মহেশখালী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইর হোসেন ও নুরুল ইসলাম জানান ৪ ফেব্রæয়ারী রাত ব্যাপী জলদস্যুরা মহেশখালীর ৫ ফিশিং বোট মাছ ধরা অবস্থায় সোনাদিয়া পশ্চিমে বারভিউ নামক স্থানে ২০/৩০ জলদস্যু উল্লেখিত ফিশিং বোটের মাঝি মাল্লাদেরকে মারধর করে তাদের বোটে থাকা সমস্ত কিছু লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ২০ লক্ষ টাকা হবে বলে ধারানা করা হচ্ছে। তারা পুলিশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সহায়তা কামনা করেন। এ ঘটনায় মহেশখালী থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে বলেও জানান তারা।

মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) বাবুল আজাদ জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন ট্রলার মালিকগণের সহযোগীতায় জলদস্যুদের চিহ্নিত করে তদন্ত প‚র্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।