আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে মোটর মালিক সমিতির নামে ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি, যাত্রী হয়রানী বন্ধসহ উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিতের দাবিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহি পাহাড়িকা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ পাহাড়িকা পরিবহনের প্রধান কাউন্টারে তালা লাগিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
রাঙামাটির আবাসিক হোটেল মালিত সমিতি, স্থানীয় পরিবহণ মালিকগণ, সকল রাজনৈতিক দলগুলোসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনকারিদের নেতৃত্বে থাকা ইমতিয়াজ সিদ্দিকী আসাদ জানিয়েছেন, অন্যতম পর্যটন জেলা রাঙামাটির পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতি নামক একটি অবৈধ সংগঠন। চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে বছরের পর বছর ধরে রাঙামাটিবাসীকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ব্যবসায়ি সমিতির নেতা আনোয়ার মিয়া বানু জানিয়েছেন, রাউজান নির্ভর এই সংগঠনের একক আধিপত্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে রাঙামাটিতে বিলাস বহুল বাস সার্ভিস চালু করতে পারছেনা কোম্পানীগুলো। প্রতিটি বাস কোম্পানীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে চাঁদাবাজির ঘোষনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মোটর মালিক সমিতির নেতারা।
এদিকে অবিলম্বে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে তথাকথিত মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদাবাজি বন্ধসহ উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে প্রশাসন তথা সরকার যদি পদক্ষেপ না নেয় তাহলে লাগাতারভাবে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচীর ডাক দিবে বলেও আন্দোলনকারিরা ঘোষনা দিয়েছে।
রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে সরাসরি চলাচলকারি পাহাড়িকা পরিবহনের বাস সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এই রুটে চলাচলকারি যাত্রীরা।
এদিকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির রাঙামাটি জেলার সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, এভাবে গাড়ি বন্ধ করে দিলে সমস্যার সমাধান হবেনা। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।