শাহেদ মিজান, সিবিএন:
এতদিন কথা চাউর ছিলো, গত ৩ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে ইয়াবা কারবারিদের যে আত্মসমর্পণ হয়েছে সেখানে থাকছে বহুল আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী নূরুল হক ভুট্টো। কিন্ত তা আর হয়নি। ওই আত্মসমপর্ণ প্রক্রিয়ায় ছিলো না এই ভুট্টো। তবে আত্মসমপর্ণ ঢামাঢোলের মধ্যেই কক্সবাজার সদর মডল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলো সাংবাদিকের উপর হামলা দেশজুড়ে আলোচনায় আসা শীর্ষ ইয়াবা কারবারি নূরুল হক ভুট্টো।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সদর মডেল পুলিশের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভুট্টো গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, টেকনাফের ইয়াবা পাড়া খ্যাত নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়ার পুত্র এই আলোচিত ইয়াবা কারবারি নূরুল হক ভুট্টো। সারাদেশে ইয়াবা পাচার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে ভুট্টো ও তার পরিবার। ইয়াবা পাচারের জন্য ভুট্টোর রয়েছে বিশাল বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা টেকনাফ থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে রযেছে। শুধু ইয়াবা কারবার নয়; এলাকায় জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ না অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো ভুট্টো ও তার পরিবারের সদস্যরা।

২০১৬ সালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কক্সবাজারের একদল সাংবাদিকের উপর নৃশংস হামলা করেছিলো ভুট্টোর বাহনীর লোকজন। এঈ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়। অন্যদিকে ইয়াবার এক মামলায় ভুট্টোর পরিবারের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। এ রকম নানা ঘটনায় দেশজুড়ে বেশ আলোচনায় চলে আসে ভুট্টো।

এদিকে ব্যাপক চাপের মুখে আত্মসমপর্ণ করতে রাজি হয় নুরুল হক ভুট্টো। গত বছর হওয়া ১০২ জনের সাথে করতে পারেনি। তবে পরে আত্মসম্পর্ণ করতে দৌড়ঝাঁপ চালায়। এর মধ্যে চাউর হয় ভুট্টো সেফহোমে চলে গেছে। কথা ছিলো ৩ ফেব্রুয়ারির আত্মসমপর্ণ প্রক্রিয়ায় থাকছে ভুট্টোও। কিন্তু সেখানে তাকে না দেখে না জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। তবে এই জল্পনা-কল্পনার ডালপালা না ছড়াতেই ভুট্টোকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।