গত ২ ফেব্রুয়ারি দৈনিক কক্সবাজার সহ জেলার কয়েকটি পত্রিকায় ‘প্রতিবন্ধির জায়গা দখল নিতে চাচা ভাতিজার ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টগোচর হয়েছে। একজন প্রতিবন্ধির জায়গা দখলে নিতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত গল্প সাঝিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে তা আধো সত্য নয়। প্রকৃত পক্ষে কালারমারছড়া সোনারপাড়া এলাকার মৃত জাফর আহমদ পুত্র চিহ্নিত এলও অফিসের দালাল, ভুমিদস্যু, জেলার একাধিক সম্মানি ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের হুতা মো: হোসেন (ড্রাইভার) তার সহোদর ছোট ভাই প্রতিবন্ধি কুতুব উদ্দিনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে প্রশাসনের ফায়দা লুটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
যেহেতু মাননীয় বিজ্ঞ মুন্সেফ আদালতের চূড়ান্ত রায় অনুবলে সৃজিত বিএস খতিয়ান ২১২১ নম্বর নিয়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আপিল মামলা নং-১২০/১৯ চলমান আছে তাই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করলাম না।
উল্লেখ্য যে, মাননীয় বিজ্ঞ মুন্সেফ আদালতের একই রায়ের অনুবলে অভিযোগকারী মো: হোসেন (ড্রাইভার) গং ও তাদের প্রাপ্ত অংশ নিয়ে বিএস ১৪৫৮ নং খতিয়ান সৃজন করে। প্রশ্ন হল-মাননীয় বিজ্ঞ মুন্সেফ আদালতের একই রায়ে তারা যদি ১৪৫৮ নং খতিয়ান সৃজন করতে পারে তাহলে সৃজিত ২১২১ নাম্বার খতিয়ান এবং জায়গা কিভাবে প্রতিবন্ধীর হয় ? তাছাড়া বিগত ২৮ তারিখ জেলা ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতের আপিল মামলা নং ১২০/১৯ এর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মতে সহকারী কমিশনার ভুমি মহেশখালী অফিসের কানোনগো জমির দখল বিষয়ে সরজমিনে তদন্তে যায়। ঐ সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা আইন শৃংখলা অবনতির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উক্ত মো: হোসেন (ড্রাইভার) তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে মারধর, ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। এ নিয়ে মহেশখালী থানায় গত ৩০ ডিসেম্বর জি.আর মামলা নং ২২/২২ রুজু হয়।
মূল বিষয়টি হল মোঃ হোসেন (ড্রাইভার) তার প্রতিবন্ধি সহোদর ভাইকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাহিত করার লক্ষ্যে উল্লেখিত মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক সংবাদটি পরিবেশন করানো হয়েছে। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং সংবাদে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
ছৈয়দ আহমদ
কালারমারছড়া, মহেশখালী।