প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
‘জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ জলাভূমি সংরক্ষণ করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার বিকালে কক্সবাজারে বিশ্ব জলাভূমি দিবসের পথসভা, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সামনে পথসভা শেষে র্যালি সহকারে রিপোর্টাস ইউনিটির কার্যালয়ে গিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পিপলস ফোরাম এর সাধারন সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।
বক্তব্য রাখেন, রিপোর্টাস ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচএম নজরুল ইসলাম, পরিচালক আজিম নিহাদ, মোহাম্মদ হোসাইন ও জসিম উদ্দিন। সভায় বক্তারা বলেন, দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৫০ ভাগ জলাভূমি। হাজারো প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ জলাভূমির ওপর নির্ভরশীল। জলাভূমি বাঁচলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে। জলাভূমি মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী ও পাখি জলাভূমি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই অতিগুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি আজ নানা কারণে হুমকির মুখে। এ জন্য অকারণে জলাভূমি ভরাট না করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনটির পরিচালক সাহেদ মিজান।
বক্তারা বলেন জলাভূমির ক্রমাবনতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া এবং জলাভূমিতে উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সঠিকভাবে সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও উদ্যোগ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়।
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের আয়োজনে বিশ্বের জলাভূমি সংরক্ষণে ইরানের রামসার শহরে সম্মেলন এক স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।
দিনটি স্মরণে রাখতে জাতিসংঘের আয়োজনে ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হচ্ছে।
জলাভূমির আয়তন হ্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং জলাভূমির বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসযোগ্যতা সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রথম কনভেনশন হয়েছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।