প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সীমান্ত সুরক্ষা বাঁধ তথা সড়কের কাজ ২০২১ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, দেশের সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজ সেভাবে আগানি দেখে সময় বাড়ানো হচ্ছে। এখন কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আগামী বছরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) সীমান্তের বান্দরবান ও কক্সবাজারে নির্মাণাধীন সীমান্ত সুরক্ষা সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত সুরক্ষা সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে খরচ হচ্ছে ১৪১ কোটি টাকা।

প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা সড়ক পরিদর্শনে যান। শুরুতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমান পাড়ার অংশ পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে যান হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং সীমান্তে। উনচিপ্রাং থেকে যান শাহপরীর দ্বীপ এলাকায়। পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম জোনের প্রধান প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্মামী প্রমুখ। আঞ্জুমানপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপে বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য শাহপরীর দ্বীপের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষায় পানিতে প্লাবিত হয়ে এলাকা ছাড়তে হয় শত শত লোকজনকে। অবশেষে সেই ভাঙা অংশেও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে।

শাহপরীর দ্বীপের নির্মাণাধীন ৩ কিলোমিটারের সেই বেড়িবাঁধটি পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে শাহপরীর দ্বীপে ৩.৩৫ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসে কাজটি শেষ হবে। এর ফলে এই দ্বীপ আর প্লাবিত হবে না। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-দুর্দশা শেষ হয়ে যাবে। বর্ষাকালে আর কাউকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে না।