গত ২৯ জানুয়ারী হোটেল জামান সী হাইটস জবর দখলকারী আত্মসমর্পণকারী আত্মস্বীকৃত চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি শাহজাহান আনসারীর পক্ষে তার পিতা নুর মোহাম্মদ আনসারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবী করেন, তার ছেলে শাহজাহান আনসারীর সাথে ২০১৬ খ্রীস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর ২ কোটি টাকা ফেরতযোগ্য নগদ সেলামিতে ৫ বছর মেয়াদে চুক্তি করি এবং হোটেলের ছোট বড় ৬০ সোয়ীটের মাসিক ভাড়া ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয় বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক ভাইদের  যাহা ফেরবি ষড়যন্ত্র মুলক  মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। শাহজাহান আনসারী নামে কারো সাথে আমার হোটেল সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কোনদিন আমার কোন লিখিত চুক্তি আদৌ সম্পাদিত হয়নি।

বিগত ২৯/১১/২০১৯ ইংরেজি তারিখ কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত পত্রিকা `দৈনিক আজকের দেশবিদেশ’ সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপনে জবরদখল কারী চক্রটি দাবীকরে বিজ্ঞাপনে যে বিবৃতি প্রদান করা হয় তাহা হুবহু তুলে ধরা হল।

” বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সদর, কক্সবাজার অপর মামলা নং ৩০০/২০১৯ ইংরেজি শাহজাহান আনসারী বাদী বনাম জামান প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট এর পক্ষে হোটেল জামান সী হাইটস মালিক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বিবাদী মর্মে উল্লেখিত মামলার গত ২৭/১১/২০১৯ ইং তারিখ মাননীয় আদালতের আদেশ মূলে নালিশী তপসিল সংক্রান্ত স্থিতাবস্থা (অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা) বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তপশীলঃ জেলা কক্সবাজার, থানা কক্সবাজার সদর, পৌর এলাকা, মৌজা -ঝিলংজা, জেএল নং-১৭, আরএস ৯১০৫, ৫৪৬, ৯০৪১, ৯০৯০ ও ২৭৬নং দাগাদির আন্দর সামিল মূল বি,এস, ৬নং খতিয়ানের ও সাবেক নামজারী বি,এস, ৩৮১০ ও ৪৬৯৬ নং খতিয়ানাদির ও সর্বশেষ নামজারী বি,এস, ৬৭১৮ নং খতিয়ানের বি,এস, ২০১৫৭, ২০১৫৭/২৮৪৫০, ২০১৫৭/২৯৮২২ দাগাদির আন্দর সামিল গণপূর্ত অধিদফতর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আবাসিক এলাকার সি ব্লকের ১৫ (বি) ও ১৬ নং প্লটের ০.২০৬৫ একর বা ২০.৫০ কাঠা জমিতে নির্মিত জামান সী হাইটস নামক ৭ তলা বিশিষ্ট ৭০ টি সোয়ীট সমেত যাবতীয় গাড়ী পার্কিং ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা সহ ভাড়ায় লাগিয়তকৃত”।

জবর দখলকারী কতৃক দায়েরকৃত অপর ৩০০/২০১৯ খ্রীঃ নং মামলার আদেশে বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ জারি করেন। কিন্তু এই চক্রটি পূর্ব থেকে আমাদের নিজস্ব বসবাসের জন্য রাখা ৭টি সোয়ীট থেকে বিতাড়িত করতে ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর লালিত ও বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছিল গত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রীস্টাব্দে। এই হামলায় মহিলাসহ অনেক লোকজন জখম প্রাপ্ত হয়েছিল। সেই হামলা সংক্রান্ত সংবাদ কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই চক্রটি গত ২৯ জানুয়ারী (বুধবার)  ২০২০ খ্রীস্টাব্দে  সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবী করেন, ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারী হোটেল জামান সী হাইটস এ ফ্ল্যাট ক্রয় করেছে তা আমি বা আমরা তাকে রেজিস্ট্রি দিচ্ছি না বলে দাবী করেন। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর পক্ষে তার পিতার এই দাবী সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন । আমাদের মালিকানাধীন হোটেল জামান সী হাইটস এর কোন ফ্ল্যাট শাহজাহান আনছারীকে বিক্রয় করার কথা বা কোন প্রকার চুক্তি নাই ছিলনা। সুতরাং শাহজাহান আনছারীকে রেজিস্ট্রি দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

গত ২৯ জানুয়ারী বুধবারে শাহজাহান আনছারীর পক্ষে তার পিতা নুর মোহাম্মদ আনছারীর করা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা হোটেল জামানের ৬০টি সোয়ীটের মাসিক ভাড়া ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার কথা। এখন আমার প্রশ্ন হল ২৯/১১/২০১৯ খ্রীস্টাব্দে উল্লেখ করা হয়েছে ৭০টি সোয়ীটসহ গাড়ী পার্কিং ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা সহ এই জবরদখল কারী চক্রটিকে আমি লাগিয়ত করেছি বলে দাবি করেন। প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে জবরদখল কারী চক্রটির কাছে জানতে চাই হোটেল জামান সী হাইটস এর ৭০টি সোয়ীট নাকি ৬০টি সোয়ীট?  এই চক্রটি একেক সময় একেক রকম বিভ্রান্তি মূলক তথ্য উপস্থাপন করে নিজেরাই নিজেদের অসারতা প্রমাণ করছে।

হোটেল জামান সী হাইটস এর মালিক হিসাবে আমাদের বক্তব্য হল,শাহজাহান আনছারীকে একসময় জামান সী হাইটস হোটেলটি দেখাশোনা করার মৌখিক দায়িত্ব দিয়ে ছিলাম । পরবর্তী সময়ে শাহজাহান আনছারী তার নেতৃত্বে এই হোটেল কেন্দ্রীক একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড চালাচ্ছে এমন খবর আমরা মালিক পক্ষ জানতে পারি। এই খবর জানার পর আমরা হোটেল জামান সী হাইটস এর মালিক পক্ষ শাহজাহান আনছারীকে হোটেলের যাবতীয় হিসাব নিকাশ প্রদান করতে বলি।

শাহজাহান আনছারী আমাদের হিসাব না দিয়ে উল্টো আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে হোটেলটি জবর দখল করে আত্মসাৎ করার নানা ধরনের কলাকৌশল শুরু করলে আমরা মালিক পক্ষ শহরের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আমাদের মালিকানাধীন হোটেল জামান সী হাইটস উদ্ধার করতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হই। কারণ এই ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীকে জেলার একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা ইন্ধন দিচ্ছে এমন প্রমাণ পেয়ে আমরা আইনি সহায়তার মাধ্যমে জবরদখল কারীর হাত থেকে আমাদের মালিকানাধীন হোটেলটি উদ্ধার করার তৎপরতা শুরু করি।

এমতাবস্থায় ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর স্ত্রী জিগারুন্নেসা বাদী হয়ে একটি জাল (নোটারী পাবলিক) চুক্তিনামা সৃজন করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত কক্সবাজারে আমাদের বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর হল অপর মামলা নং ৩০০/২০১৯ ইংরেজি। এই মামলাতে যে জাল চুক্তি নামা ( নোটারী পাবলিক)  দাখিল করা হয়েছে সেই চুক্তিটি যে জাল নোটারী পাবলিক চুক্তিনামাটি যে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত একটি প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেন নোটারী পাবলিক অথরিটি।

আমরা সেই প্রত্যায়ন পত্রটি জবর দখলকারী কতৃক দায়ের কৃত মামলার বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে দায়ের করেছি। আমার দায়ের করা জবাবের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের রায় তাদের পক্ষে না হওয়ার সমুহ সন্দেহ সৃষ্টি হলে এই জবর দখলকারী চক্রটি আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে গত ২৯/০১/২০২০ খ্রীস্টাব্দ বুধবারের সংবাদ সম্মেলনটি করছে বলে আমি মনে করি।

গত ২৯ জানুয়ারী( বুধবার) ২০২০ খ্রীঃ সংবাদ সম্মেলনে  আত্মসমর্পণ কারী আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর পিতা ” সরকারের কোন মাদকের তালিকায় আমার ছেলে মোঃ শাহজাহান আনছারীর নাম নাই ” বলে দাবী করেন। তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক প্রকাশিত ১১৫১ জন ইয়াবা গডফাদার, ব্যাবসায়ীর তালিকায় ৬ নম্বর ক্রমিকে শাহজাহান আনছারীর নাম লিপিবদ্ধ কেন করা হল? তিনি আরো দাবী করেন নানামুখি ষড়যন্ত্রের কারণে জীবন রক্ষার্থে  আত্মসমর্পণ করে।

এই শাহজাহান আনছারী কত বড় মাপের ইয়াবা কারবারি আমাদের চাইতে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় সাংবাদিক ভাইয়েরা বেশী অবগত রয়েছেন। আত্মসমর্পণকারী আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর ইয়াবা সাম্রাজ্য নিয়ে তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় সংবাদ পত্র সমূহতপ অনেক তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। সর্বশেষ সরকার কতৃক ইয়াবা ডনদের সুষ্ঠু জীবনে ফিরে আসার সুযোগ প্রদানের ঘোষণা দিলে ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারী গত ২০১৯ খ্রীস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশের মাননীয় মহাপরিচালক মহোয়ের কাছে ইয়াবা সংক্রান্ত অভিযোগের দায় স্বীকার করে ১০২ জন চিহ্নিত তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার ও ইয়াবা কারবারিদের সাথে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণ তালিকায় ১০২ নম্বরে আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালতে ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর স্ত্রী জিগারু ন্নেসা কতৃক দায়েরকৃত অপর মামলা ৩০০/২০১৯ খ্রীস্টাব্দ নং মামলায় যে চুক্তিনামা দায়ের করা হয়েছে, সেই চুক্তিনামা যে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে তার স্বপক্ষে প্রমাণসহ বিজ্ঞ আদালতে আমরা লিখিত জবাব দাখিল পর থেকে এই চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি হলে এখন আবার নতুন করে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক প্রপাগাণ্ডার অংশ হিসাবে গত ২৯ /০১/২০২০ খ্রীঃ তারিখের সংবাদ সম্মেলন। সম্মানীত সাংবাদিক ভাইয়েরা ও সচেতন কক্সবাজারবাসী আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ডন শাহজাহান আনছারীর পিতা নুর মোহাম্মদ আনছারী কতৃক করা সংবাদ সম্মেলন সম্পর্কে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিবৃতি দাতাঃ
ওয়াহিদুজ্জামান বাবু
পিতা- মরহুম ডাঃ নুরুজ্জামান।
হোটেল জামান সী হাইটস এর মালিক
সাং হোটেল জামান সী হাইটস
সি ব্লক ১৫ ও ১৬ নং প্লট
হোটেল মোটেল জোন
কলাতলী, কক্সবাজার।