বিশেষ প্রতিবেদক :

রোকসানা একজন গৃহিনী। তিনি তার ৬ বছর বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে একটি ওয়ারড্রপ কিনতে গিয়েছিলেন কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটায় আরএফএল গ্রুপের বিপনন কেন্দ্র ‘বেষ্ট বাই’ শো-রুমে। এই শো-রুমে অন্য পণ্যের সাথে বাচ্চাদের খেলনার আইটেমও রয়েছে। মা যখন ওয়ারড্রপ দেখছিলেন, ওই সময়ে বাচ্চা খেলনার আইটেম গুলো নাড়াচাড়া করছিল। সেই সময় ওই শো-রুমের ম্যানেজার শামসুল আলম বাচ্চাটির হাত থেকে খেলনা কেড়ে নেন এবং বাচ্চাটির সাথে রূঢ় আচরণ করেন!

এ নিয়ে বাচ্চার মা ও বাবা যখন ম্যানেজারের রুঢ় আচরণের প্রতিবাদ করেন তখন শামসুল আলম নামের ওই চাকুরে তাদের সাথেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং উদ্ব্যত্ব আচরণ করেন। ওই চাকুরে আগ্রাসি আচরণ করে বলেন, ‘এটি শিশুপার্ক নয়, যা ইচ্ছা বাচ্চারা ধরতে পারবে না!’

ওই গৃহিনী একটি ওয়ারড্রপ পছন্দ করেও শো-রুম ম্যানেজার শামসুল আলমের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে না কিনেই ফিরে আসেন।

সে সময় শো-রুমটিতে এসেছিলেন আরেক গৃহিনী সোমাইয়া জাহান। তিনিও বাচ্চা নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, আরএফএলের এই শো-রুমটিতে বাচ্চাদের আইটেম থাকায় কোন কিছু কিনতে এলে বাচ্চারা খেলনা নিয়ে নাড়াচাড়া ও কেনার জন্য বায়না করে। কিন্তু বাচ্চাদের সাথে শো-রুম ম্যানেজারের আচরণ এতো বাজে যে, বেশির ভাগ সময়ই কোন কিছু না কিনেই ফিরে আসতে হয়।

শহরের ব্যবসায়ী আবদুর রহিমও ওই সময় আরএফএলের শো-রুমে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ম্যানেজারের আচরণ যদি এমন হয় তাহলে তো ক্রেতারা এখানে আসবেন না।

আর এভাবেই চলছে দেশের স্বনামধন্য শিল্প গ্রুপ আরএফএল-প্রাণ গ্রুপের বিপনন কেন্দ্র ‘বেস্ট বাই’য়ের কক্সবাজার শো-রুম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শো-রুমের ম্যানেজার পদে থাকা শামসুল আলম নামের ওই ব্যক্তি প্রায় সময় ক্রেতাদের সাথে রুঢ় আচরণ করেন। তার আচরণে বিরক্ত হয়ে একবার শো-রুমে এসে আর ফিরে আসেন না।

তথ্য মতে, শামসুল আলম নিজেকে আরএফএল গ্রুপের মালিকপক্ষের লোক পরিচয় দিয়ে সাধারণ ক্রেতা ও শো-রুমে কর্মচারিদের সাথে অসভ্য আচরণ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘বেস্ট বাই’ কক্সবাজার শো-রুমের দু’জন কর্মচারি বলেন, এই ম্যানেজারের আচরণে আমরা নিজেরাও অতিষ্ট। কিন্তু ছোট পোষ্টে চাকুরি করি বলে কিছু বলতে পারি না।

এ বিষয়টি আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আর এন পালের নজরে আনা হলে তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান। তবে বিগত দুইদিনেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।