মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কুঃ
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত শিশুদের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিশু পার্কটি এখন বখাটে যুবকদের দখলে। বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সমতল উপজেলা হিসেবে পরিচিত নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড় ঘেরা এ জনপদ। দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন নগরী শহর কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী
নাইক্ষ্যংছড়িতেও রয়েছে বেশ কিছু পর্যটন স্পট। তাই দেশবিদেশের
পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় নাইক্ষ্যংছড়ি অন্যতম।

উপবন পর্যটন লেকের প্রবেশ পথ রেষ্ট হাউস সংলগ্ন সুন্দর একটি পাহাড়ের চুড়ায় বিগত ১৯৮৭ইং সালে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবালের প্রচেষ্ঠায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত শিশুদের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র এ শিশু পার্কটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় সেখানে দিন রাত বখাটে কিছু যুবকদের বসছে জমজমাট জোয়ার আসর। সুযোগ বুঝে উঠতি বয়সের যুবকদের পাশাপাশি কিছু শিক্ষার্থীরা আড্ডা জমাই এই পার্কে।

স্থানীয় অনেকের অভিযোগ এ পরিত্যক্ত পার্কে সন্ধ্যার পরেই মরন নেশা ইয়াবা সেবন করে ঐ সমস্ত যুবকরা। এইভাবে চলতে থাকলে দিন দিন বখাটেদের দুরুত্ব বেড়ে এলাকার আইনশৃংখলা অবনতি হওয়ার আশংকাও রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, সরকারের কোটি টাকার সম্পদ এই পার্কটি চালু না থাকায় একদিকে শিশুরা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অপর দিকে এলাকার কিছু উঠতি বয়সের ছেলেরা এটাকে জোয়ার আসর ও ইয়াবা সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই যুব সমাজ সহ শিক্ষার্থীদের অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে শিশু পার্কটি পূনরায় চালু সহ বখাটে ও মরণ নেশা ইয়াবা সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল জানান, ১৯৮৬-৮৭ ইং সনের অর্থবছরে পিছিয়ে পড়া এই উপজেলার শিশুদের বিনোদনের জন্য এই শিশু পার্কটি করা হলেও পরবর্তীতে সংস্কারের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এইভাবে একটি সরকারী সম্পদ বখাটেদের দখলে যাওয়া সত্যিই দুঃখজনক।

এই ওয়ার্ডের মেম্বার আরেফ উল্লাহ ছুট্ট জানান, সুযোগ বুঝে কিছু বিপদগামী যুবকরা এখানে অনৈতিক কাজ করে তিনি এ ব্যাপারে অবগত আছেন। এছাড়া এ স্থানে বেশ কয়েকবার অভিযানও চালিয়েছেন প্রশাসন। উল্লেখ্য ২০১৬-১৭ইং অর্থবছরে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এই পার্কটিতে সিড়ি, ছাতা, দোলনা সহ প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার পূণ:সংস্কারের কাজ করলেও সে অবদি এখনো পার্কটি বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদ এবং পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।