এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা’র উদ্যোগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণে শিক্ষা সেবিকা সম্মেলন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চকরিয়া পৌরসভার এটিএন পার্ক নামক একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কক্সবাজার জেলার ১১টি আশা-ব্রাঞ্চের ১৬৫টি শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষা সেবিকারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষা সেবিকা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান। আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. আবু হাসনাত চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হামিদুল্লাহ মিয়া, আশা’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মো. আব্দুল মোতালিব, সিনিয়র এডুকেশন অফিসার জসিম আহমেদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশা’র চট্টগ্রামের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জাহিদ হোসাইন খান।

সম্মেলনে আশা’র ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) আবু হাসনাত চৌধুরী বলেন, আশা বিদেশী কোনো অনুদান নিয়ে কাজ করে না। ক্ষুদ্র ঋণের লভ্যাংশ নিয়ে সংস্থাটি ২০১১ সাল থেকে দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সহায়তা ও ঝরে পড়া রোধে ‘প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি ’পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ১২৫০টি আশা ব্রাঞ্চে ১৮ হাজার ৯৫০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারের পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছে। কক্সবাজার জেলায় ১৬৫টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে চার হাজার ৫৯৫জন শিশু শিক্ষা সহায়তা নিচ্ছে। প্রতিকেন্দ্রে একজন করে শিক্ষা সেবিকা দায়িত্ব পালন করছে। এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শিক্ষা সেবিকাদের উৎসাহিত করতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি চকরিয়ার ইউএনও নূরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বইয়ের বোঝা শিশুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সরকার এ বিষয়টির ওপর খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার নির্ধারিত পাঠ্যবই নিয়ে পাঠদানে শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষা সেবিকাদের নির্দেশনা দেন ইউএনও।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার বলেন, মানসম্মত ও ন্যায্যতা ভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিশু বয়স থেকে নৈতিকতা শেখানোর আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হামিদুল্লাহ মিয়া বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে আশা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। বিশেষ করে শিক্ষা সেক্টরে ভুমিকা রাখছে দেশের শীর্ষ এই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাটি।

আশা’র জয়েন্ট ডিরেক্টর আব্দুল মোতালিব বলেন, আমরা শিশু ও শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটাই। ঝরে পড়া রোধ করতে উন্নয়ন সংস্থা আশা প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।