সংবাদদাতাঃ
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এক নব্য কোটিপতির টাকার গরমে বন্ধ হয়ে গেল দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা। ফলে নব্য কোটিপতির টাকার গরমে বন্ধ হয়ে গেল নয় পরিবারের ২০ শিশুর পড়ালেখা। তারা দীর্ঘ তিন মাস ধরে স্কুলে যাতায়ত করতে পারছে না। তৎমধ্যে একজন প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থী চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দরগাহ ছড়া গ্রামের বর্ষীয়ান আলেম মাওলানা মোঃ কাসেমসহ নয়টি পরিবার একটি সড়ক দিয়ে বহুকাল ধরে চলাচল করে আসছিল। হঠাৎ করে গত কয়েকমাস আগে একই এলাকার লুৎফর রহমান চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে প্রথমে পারিবারিক ভাবে সমাঝোতা করার চেষ্টা করা হয়। তাতে লুৎফর রহমান সালিশ মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও চলাচলের রাস্তায় এখনো বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা করে রাখে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার উমর হাকিম ঘটনাস্থলে উভয় পক্ষ নিয়ে বৈঠক সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।
এতেও লুৎফর রহমান গং বিচার মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠক সম্পন্ন করলেও পরবর্তীতে লুৎফর রহমান গং টাকার গরম দেখিয়ে কোনভাবেই কারও সমাধান মেনে নিচ্ছে না।
স্থানীয়ভাবে একাধিকবার রাস্তা চলাচল উপযোগী করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও গত ১৭ জানুয়ারী লুৎফর রহমান গং মাওলানা কাসেম গংদের উপর উল্টো হাকাবকা দিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় মাওলানা কাসেম গং লুৎফর রহমান গংদের বিরুদ্ধে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দরগাহছড়া সমাজ সর্দার জাফর আহমদ বলেন,দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে লুৎফর রহমান গং একটি অমানবিক কাজ করেছে। ওরা কারও সালিশ-বিচার মানছেনা।
এ প্রসঙ্গে হামিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন বলেন,ঐ সব পরিবারের শিশুরা কয়েকমাস ধরে স্কুলে আসছে না। শুনেছি চলাচলের রাস্তা বন্ধ থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার উমর হাকিম বলেন, লুৎফর রহমান গংসহ উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসে ছিলাম। উভয় পক্ষ মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও লুৎফর রহমান গং দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিচ্ছে না। মাওঃ কাসেমসহ নয় পরিবারের শিশুরা স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে না পারার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ভূক্তভোগী পরিবার উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।