তাজুল ইসলাম পলাশ:
সম্প্রতি চালু হওয়া স্কুল বাসে সুবিধা নিচ্ছেন অভিভাবক ও পেশাজীবিরা। শিক্ষার্থীরা বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া বাসে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ফলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও পরিবহন ব্যয় কমাতে নেয়া এই উদ্যোগকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কুসুম কুমারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অবিভাবকরা সিট দখল করার কারনে সঠিক সময়ে গাড়িতে উঠতে পারিনা।

অভিভাবকরা বলছেন অন্যকথা। ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে মেয়েকে একা ছাড়তে পারিনা। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে স্কুল বাসে মেয়ের সাথে যাতায়াত করছি।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবক এবং কিছু পেশাজীবি মানুষ স্কুল বাসে উঠছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী সেন বলেন, ‘বাস চালু হওয়ায় আমি অনেক খুশি, কিন্তু অভিভাবকদের অনুরোধ করব শিক্ষার্থীদের বাসে না উঠার জন্য। বাসগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। ‘ তাই দুশ্চিন্তা না করে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

চট্টগ্রামের জেলা প্রসাশক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আপাতত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার জন্য অভিভাবকদের গাড়িতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের বাসে অভিভাবক না উঠতে নিরুসাহিত করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, অভিভাবক ছাড়া অন্য যাত্রী বাসে না উঠার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া আছে। নগরবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ১০টি বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে নির্দিষ্ট দু’টি রুটে চলাচল করবে বাসগুলো। ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে পারবেন।

২০১৮ সালে সারাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের স্কুল বাস দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে বিআরটিসির মাধ্যমে বাসগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্দিষ্ট কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ না দিয়ে বহদ্দার হাট থেকে চকবাজার-জামালখান হয়ে নিউমার্কেটে একটি রুট এবং আগ্রাবাদ থেকে অক্সিজেন হয়ে দ্বিতীয় রুটে চলাচল করছে এসব বাস

৬ মাস আগে বাসগুলো আসলেও চালক সঙ্কটে এতদিন বিআরটিসি ডিপোতেই পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত চালক নিয়োগের পাশাপাশি সব ধরনের জটিলতা নিরসন করে অবশেষে রাস্তায় নামলো বাসগুলো। শিক্ষার্থীরা ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে বাসে চড়লেও ভর্তুকির পুরো টাকার যোগান দেবে জিপিএইচ ইস্পাত।

জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, এটার সব খরচ জিপিএইচ ইস্পাত বহর করবে।

তিনি বলেন, বাসগুলোতে কোনো কন্ট্রাক্টর থাকবে না। তবে নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বাসে রয়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা।