এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য কালজয়ী এই উক্তি অবশেষে বৃথা গেছে মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী আশরাফুল জন্নাত নুসরাতের জীবনে। মাত্র পাঁচ লাখ টাকার উন্নত চিকিৎসার অভাবে সুন্দর পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকতে পারলেনা ক্যান্সার আক্রান্ত ফুটফুটে এ শিশুটি। অভাব অনটনে নিমজ্জিত পরিবার শতচেষ্ঠা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেনি। এমনকি তাকে বাঁচাতে উল্লেখ্যযোগ্য কোন সহযোগিতাও পাননি সমাজের বিত্তবান বা দানশীল মানুষের কাছ থেকে। যদিও সমাজের নামী দামি ব্যক্তিরা অপ্রয়োজনে অকাতরে বিপুল টাকা খরচের অনেক নজীর আছে বটে!

মেধাবী শিশু শিক্ষার্থী আশরাফুল জন্নাত নুসরাত (১০) চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নয়াপাড়া বাসিন্দা মাওলানা ছৈয়দ আলমের কন্যা। শিশুটি ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্থানীয় শাহারবিল রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের চর্তুথ শ্রেণীতে পড়তেন। তাঁর শরীরে মরণব্যাধি ধরা পড়েছে প্রায় ২০ মাস আগে। গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারী) সকালে বিনা চিকিৎসায় নিজ বাড়িতে মারা গেছেন শিশুটি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

একইদিন বাদ মাগরিব শাহারবিল পশ্চিম নয়াপাড়া জামে মসজিদের মাঠে শিশু নুসরাতের নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় নানা মাওলানা আবুল হোসাইনের ইমামতি করেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু নুসরাতের বাবা মাওলানা ছৈয়দ আলম, তিনি চট্টগ্রামের বায়োজিদ বোস্তামী শেরশাহ এলাকার বাইতুল মোকাররম শাহী জামে মসজিদের সহকারী ইমাম। মাতা উম্মে কাউসার তিনি একজন গৃহীনি।

শিশুটির বাবা মাওলানা ছৈয়দ আলম বলেন, ২০ মাস আগে শিশু নুসরাতের শরীরে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেই থেকে পরিবারের যা ছিল তা দিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। একপর্যায়ে চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে আমরা আর্থিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হই।

তিনি বলেন, অবস্থা সংকটাপন্ন হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব দ্রুত ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে পরার্মশ দেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা করতে প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা আমার পরিবার বহন করতে অক্ষম ছিল।