নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র কলাতলী হোটেল-মোটেল জোন, কটেজ জোনসহ পুরো ১২ নং ওয়ার্ড এখন আগের চেয়ে অনেক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে। এই এলাকাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার নিয়ে গত নভেম্বরে গঠিত ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি’ কার্যক্রমের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় সেখানে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তবে পেরিয়ে আসা এই আড়াই মাসে ওই এলাকার ব্যবসা করা অর্ধেক প্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্ধারিত ফি দেয়নি। যদি সবাই সহযোগিতা করতো তা হলে আড়াই মাসেই চমক লাগানো পরিবর্তন হতো এই এলাকার।

গতকাল রাতে কলাতলীর এক রেস্তোরার সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সাথে নব গঠিত পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটির নেতৃবৃন্দ এই কথা জানান।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটির সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহম্মেদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এই সংগঠনের উপদেষ্টা আবুল কাশেম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হোসেন ডালিম, সদস্য যথাক্রমে- শরাফত উল্লাহ বাবুল, কামরুল ইসলাম, মোঃ ফোরকান মাহমুদ, আলহাজ¦ মোঃ শফি, মুকিম খান ও হাফেজুর রহমান লাবু।

মতবিনিময় সভায় সভাপতি কাজী মোরশেদ আহম্মেদ বাবু জানান, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন কলাতলী এলাকাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। ওনি আমাদেরকে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। সংগঠনের বিধি মতে, হোটেল, গেস্টাহাউজ, কটেজসহ পুরো এলাকার সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ি থেকে নির্দিষ্ট পরিমারণ ফি নেয়ার মাধ্যমে এই এলাকার বর্জ্য অপসারণসহ সব ধরণের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার নিশ্চিত করা জন্য বলেছেন জেলা প্রশাসক। সে মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি। এই কার্যক্রম চালাতে গিয়ে অর্ধেক স্টকহোল্ডার আমাদের সহযোগিতা করলেও অর্ধেকে সহযোগিতা করেনি। একারণে এই কার্যক্রমে আমাদের মাসিক ৯ লাখ টাকার যে প্রয়োজন তা পূর্ণ হচ্ছে না। ঘাটতি থাকায় আমরা এখনো কাজটা পরিপূর্ণভাবে করতে পারছি না। সবাই যদি সহযোগিতা করেন তাহলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে পুরো এলাকাটি চমক লাগানো হয়ে যাবে।

সভায় নেতৃবৃন্দ আরো জানান, ড্রাগন মার্কেট, সুগন্ধ্যার শুটকি মার্কেট, সী প্যালেজ মার্কেটসহ আরো অনেক মার্কেট এবং হোটেলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত পরিচ্ছন্ন ফি দিচ্ছে না। কিন্তু প্রতিদিন তাদের বর্জ্যগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। এতে ঘাটতির কারণে সমিতির চরম নাভিশ^াস চলছে। এভাবে চলতে থাকলে এই কার্যক্রম বেশিদিন চালানো সম্ভব হবে না। তাই যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান এই পরিচ্ছন্ন ফি দিচ্ছেন না তাদেরকে এখন থেকে নিয়মিত ফি’টি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।