মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কক্সবাজার জেলার ৬ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী এদেশের বিচার বিভাগের গর্বিত সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। এ ৭ জন কক্সবাজারবাসীর গর্বের ধনকে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর গত বছরের ১ জুলাই তারিখের ৩১.০০২.১৮-২৫ নম্বর স্মারক মূলে প্রেরিত সুপারিশ অনুযায়ী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-১ এর উপসচিব (প্রশাসন-১) শেখ গোলাম মাহবুব স্বাক্ষরিত ১২৫.১১.০০১.৫১ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে গত ১৯ জানুয়ারি দেশের ৭ টি পৃথক জেলার জেলা জজশীপে সহকারী জজ হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে একই প্রজ্ঞাপনে মোট ৯৭ জন সহকারী জজ হিসাবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে শুধুমাত্র কক্সবাজারেই ৭ জন নিয়োগ পেয়

সহকারী জজ হিসাবে নিয়োগ পাওয়া কক্সবাজার জেলার এসব কৃতি সন্তানেরা সকলেই মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
যাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরা হলেন-
(১) আহমদ হোছাইনের পুত্র তৈয়ব উদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৬ তম ব্যাচের স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৫ আগস্ট। তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(২) আবু তালেবের পুত্র মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৯ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী। তাঁকে হবিগঞ্জ জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(৩) সাবেক মেম্বার হারু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আবুল মনছুর। তিনি রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আবুল হোছনের নাতী। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩৫ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯৪ সালের ১ জানুয়ারি। তাঁকে জামালপুর জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(৪) সাবেক মেম্বার আলহাজ্ব নুরুল হক ও রশিদা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র নুরুল হারুন। তাঁর বাড়ি উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩৬ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী। তাঁকে কিশোরগঞ্জ জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(৫) জাফর আহমদের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন। তাঁর বাড়ি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড়ছরা গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৬৮ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯৪ সালের ১১ জানুয়ারি। তাঁকে ময়মনসিংহ জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
(৬) ফরিদুল আলম ও মোস্তফা বেগমের পুত্র আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদার পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭০ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৩ আগস্ট। তাঁকে সিলেট জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

(৭) কক্সবাজার জেলা থেকে একমাত্র নারী সদস্য হিসাবে হাফেজ আবদুল কাদেরের কন্যা ও মোঃ ইখতিয়ারুল হকের সহধর্মিণী নুসরাত জাহান জিনিয়া নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী জজ হিসাবে। তিনি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন (বিজেএসসি) এর ১২ তম ব্যাচের পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৮০ তম স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৯৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী। তাঁকে চাঁদপুর জেলা জজশীপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সহকারী জজ হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ইর্ষনীয় এই ৭ জন কক্সবাজার জেলার মেধাবী তরুণ তরুণী কক্সবাজারের দূত হিসাবে সারাদেশে কাজ করবেন তাঁদের চাকুরির শেষ অবধি। সমৃদ্ধ করবেন দেশের বিচার ব্যবস্থাকে। আলোকিত করবেন দেশের বিভাগকে।