মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় মানবিক কারণে জায়গা দেওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই রোহিঙ্গা শরনার্থীদের যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে, অনুরূপ সুযোগ সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হবে। এজন্য রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্য ব্যয়িত মোট অর্থের প্রতিশ্রুত ২৫% অর্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় নিশ্চিত করা হবে ইনশাল্লাহ।

স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে তাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণকল্পে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন একথা বলেন। বুধবার ২২ জানুয়ারি সকালে উখিয়ার কুতুপালংস্থ ক্যাম্প-৪ এর পাশে উখিয়ার ইউএনও প্রকৌশলী মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী রবিনের সভাপতিত্বে এই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউএনএইচসিআর-এর ফিল্ড অফিসার Mr. Oscar Sanchez Pineiro, ইউএনএইচসিআর-এর উর্ধ্বতন কর্মকতা ইফতেখার উদ্দিন বায়েজিদ, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, রেড ক্রিসেন্টের প্রতিনিধি নুরুল আবছার, উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রমুখ।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লক্ষাধিক বিশাল জনগোষ্ঠীর বাসস্থান, জ্বালানি ও দৈনন্দিন জীবনের নানা চাহিদা পূরণকল্পে উজাড় হয়ে গেছে বিপুল এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চল, মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়েছে পরিবেশ এবং স্থানীয় জনসাধারণের জীবনযাপনে। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আগমনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী উদ্দ্যোগ কক্সবাজারে চলমান রয়েছে। এ প্রয়াসের অংশ হিসেবে আজ স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে তাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণকল্পে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিতরণ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) সহায়তায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উখিয়া ও টেকনাফে প্রতি উপজেলায় ১০৪০০ করে মোট ২০৮০০ পরিবারকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। উখিয়াতে বুধবার ২২ জানুয়ারি থেকে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার বিতরণ শুরু করা হলেও টেকনাফের এ বিতরণ কর্মসূচী আগে থেকেই চলমান রয়েছে।