#আন্দোলন ও নির্বাচনে ভাটা পড়েছে বিএনপি
#দল ভারী করতে সুবিধাবাদিদের স্থান দিবেন না
#ক্ষমতার অহংকার কেউ দেখাবেন না।
# আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে
#রোহিঙ্গাদের কারণে নিজের ঘরে অসহায় স্থানীয়রা
# সুন্দর ব্যবহার দিয়ে জনগণের ভালবাসা অর্জন করুন

ইমাম খাইর, সিবিএন:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির খরা কেটে গেছে। এক সময় আমরা দুর্বল ছিলাম। এখন আমরা অনেক শক্তিশালী।
কক্সবাজারকে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণকেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে। মাতারবাড়ি থেকে শুরু করে কক্সবাজারে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কক্সবাজারকে উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। সী-বীচকে দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকালে কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন জননেতা ওবায়দুল কাদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে যান। আপন ঘরে শত্রু থাকলে বাইরের শত্রু দরকার নাই। যে কোন মূল্যে নিজেদের ঐক্য সুদৃঢ় করতে হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের ঘরে আরেকটা ঘর করবেন না। দলকে আরো বেশী ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করুন। আমরা একতাবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তি আমাদের হঠাতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, দল ভারী করতে সুবিধাবাদিদের স্থান দিবেন না। দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। কমিটি করার বেলায় যেন ত্যাগীদের স্থান হয়। সিনিয়রদের সম্মান করবেন। না হলে একদিন যখন আপনারা সিনিয়র হবেন, তখন জুনিয়রদের সম্মান পাবেন না।
মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। ক্ষমতার অহংকার করবেন না। অহংকার পতনের মূল। বিনয়ী লোকদের সবাই সম্মান করে, ভালবাসে। সুন্দর ব্যবহার দিয়ে জনগণের ভালবাসা অর্জন করুন। সেটিই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
আজকের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কারণে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী নিজের পরিশ্রমের গুণে বিশ্বের সেরা শাসকের একজন। তিনি পা থেকে মাথা পর্যন্ত সৎ। সততায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের তুলনা হয় না। সেই সাহসেই নিজের দল থেকেই তিনি শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের টানা দুইবারের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কক্সবাজারের মানুষ আতঙ্কে আছে। রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা করে দিয়ে এখানকার মানুষ নিজ ঘরে পরবাসীর মতো। আমরা রোহিঙ্গাদের কারণে চরম সংকটে আছি। পরিত্রাণ চাই।
মানবিক সাহায্য মানবিক সংকট বাড়িয়েছে। যাদের মানবিক সাহায্য করেছি তারা যেন স্থায়ী বোঝা না হয়- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের উপর দোষ চাপিয়ে পাশ কাটিয়ে যেতে চাচ্ছে মিয়ানমার। আঞ্চলিক ঝুঁকি থেকে আমাদের রক্ষার জন্য মিয়ামনারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করতে হবে। তাদের বোঝা আমরা আর সাইতে পারব না।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপির জোয়ার এখন দিবাস্বপ্ন। তাদের আন্দোলন ও নির্বাচনে ভাটা পড়েছে। জোয়ারের আর দেখা পাবে না বিএনপি।
আওয়ামী লীগে একটা পরিবারের মতো। অস্বচ্ছল-অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিবেন। আওয়ামী লীগের সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন।
কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এম,পি, কানিজ ফাতেমা আহমদ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবলীগ সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু তালেব, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রহিম উদ্দিন, জেলা তাতীঁলীগ সভাপতি আরিফুল মৌলা, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হামিদা তাহের, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসাইন তানিম।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদ আলম ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম.এ. মনজুর।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরান তেলোয়াত করেন মৌলানা নুরুল আলম সরকার, পবিত্র গীতা পাঠ করেন পরিমল কান্তি দে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন -জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমদ সিআইপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, আজিজুর রহমান বিএ. এড. বদিউল আলম সিকদার, মোঃ শফিক মিয়া, জাফর আলম চৌধুরী, মাহবুব হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, এড আয়াছুর রহমান, মোঃ ইউনুছ বাঙ্গালী, প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, হেলাল উদ্দিন কবির, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, খালেদ মাহমুদ, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এড, তাপস রক্ষিত, আবু তাহের আজাদ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, এড. নুরুল ইসলাম, এড. ফরিদুল আলম, এড. সুলতানুল আলম, এড. মমতাজ আহমদ, ড. নুরুল আবছার, শফিকুল কাদের শফি, শফিউল আলম চৌধুরী, এ.টি.এম. জিয়া উদ্দিন জিয়া, মেয়র মকছুদ মিয়া, মিজানুর রহমান, আমিনুর রশীদ দুলাল, সোনা আলী, এড. আব্দুর রউফ, জি.এম. কাশেম, মিজানুর রহমান ইকরা, অধ্যাপক হামিদুল হক চৌধুরী, মাহমুদুল করিম মাদু, অরঙ্গজেব মাতব্বর, নুরুচ্ছফা বি.কম, শহিদুল হক সোহেল, শফি উল্লাহ আনছারী, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, হারুনুর রশীদ, টিপু সুলতান চেয়ারমান, জসীম উদ্দিন চেয়ারম্যান।