মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ :
টেকনাফ আল- জামিয়া আল-ইসলামিয়া ও এতিমখানা (টেকনাফ বড় মাদ্রাসা)’র দু’দিন ব্যাপী ৭৬ তম বার্ষিক সভা সম্পন্ন হয়েছে।
১৯, ২০ জানুয়ারী রবিবার ও সোমবার মাদ্রাসা সংলগ্ন পৌর ঈদগাহ ময়দানে দু’দিন ব্যাপী বার্ষিক সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
এতে চট্টগ্রাম জিরি ইসলামিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম তাবীকে উম্মাত, পীরে কামিল আল্লামা শাহ মোঃ তৈয়ব, ফকিহুল মিল্লাত হযরত মুফতি সাহেব হুজুর (রাহঃ) এর ছাহেব যাদা, মুর্শিদুস্ সুন্নাহ্, পীরে কামেল আল্লামা মুফতি আরশাদ রহমানী, মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, কোয়াকাটার মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, পটিয়া মাদরাসার মাওলানা ওবাইদ উল্লাহ হামজাহ, পটিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা কাজী আখতার হোসাইন, ঢাকার মাওলানা মেরাজুল হক, মাওলানা হেদায়ত উল্লাহ আজাদী, মুফতি রিজওয়ান রফিকী, মুফতি সাঈদুল ইসলাম, মুফতি ওসমান গণি, কারী ফরিদুল আলন প্রমুখ তাকরির পেশ করবেন।
মাদ্রাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ কিফায়তুল্লাহ শফিক
২দিন ব্যাপী বার্ষিক সভায় বক্তারা বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির র্ধম। ইসলাম সারা বিশ্বে শান্তির বার্তা পৌছায়। এখানে বিশৃঙ্খলা কোন স্থান নেই। যারা ইসলামের নামে আজ বিশ্বে অরাজকতা সৃষ্টি করছে তারা ইসলামের চরম শত্রু। যারা প্রকৃত মুসলিম তারা কখনো অশান্তি হানাহানিতে লিপ্ত হতে পারে না। তারা ভ্রান্ত মতধারায় পথভ্রষ্ট। বক্তারা আরো বলেন, ইসলামের সঠিক মতাদর্শ প্রচার প্রসারে বিশ্ব ব্যাপী কওমী মাদরাসা সমূহ ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই সর্বস্তরের মুসলিম জনতাকে এসব প্রতিষ্ঠান গুলোকে সহযোগীতায় এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে এদেশে মানুষ ইসলামের সঠিক মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নৈকট্য হাসিল করতে পারবে।
বর্তমান সমাজে নিত্য পর্দা লংঘন হচ্ছে। কোনভাবেই ইসলামি শরীয়তে পর্দা না করার সুযোগ নেই। এবং মাদক ইসলামী শরীয়তে সম্পুর্ন নিষিদ্ধ। কিন্তু মাদকের কারনে আজ সমাজ কলুষিত হয়েছে। মাদক মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামের সম্পুর্ন বিধিবিধান মেনে চলতে হবে। এছাড়া কোন ভাবেই দেশ ও সমাজকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব নয়।
সভাপতির বক্তব্যে মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ কিফায়ত উল্লাহ শফিক বলেন, এ সব মাদরাসা পরিচালিত হয় এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতায়। আপনাদের এ সহযোগীতা আগামীতেও অব্যাহত রাখবেন আশা রাখি। তাহলে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে সহায়ক হবে। এতে আপনাররা উভয় জগতে নৈকিট্য হাসিল নিশ্চিত হবে।
সোমবার মধ্যরাতে হাজার হাজার মুসলিম জনতার উপস্থিতিতে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে সভা সমাপ্ত হয়।