সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের পদের বেতনস্কেল ও পদনাম পরিবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) দীর্ঘদিন ধরে এই আন্দোলন করে আসছে।
বিভিন্ন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে মর্মে কর্মচারীগণ জানান, এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নানা প্রকার আশ্বাস প্রদান করলেও কোন দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণ করেছে।
আগামী ২০ থেকে ২১ জানুয়ারি সকাল ৯ টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি, অফিস চত্বরে অবস্থান এবং সভা সমাবেশ। ২২ থেকে ২৩ জানুয়ারি সকাল ০৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি, অফিস চত্বরে অবস্থান এবং সভা সমাবেশ। ২৭ থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৯ টা থেকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে ৪ ঘন্টা কর্মবিরতি, অফিস চত্বরে অবস্থান এবং সভা সমাবেশ। ২৯ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখ সকাল ০৯ টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি, অফিস চত্বরে অবস্থান এবং সভা সমাবেশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৭ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বাঙ্গালী সূর্য সন্তান, বীর শহীদদের প্রতি এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এর কারণে কর্মসূচি বিরতি। এর মধ্যে দাবী বাস্তবায়ন না হলে ২৮ মার্চ ঢাকা প্রেসক্লাবে মহা সমাবেশের মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। নেতৃবৃন্দরা জানান, মাঠ পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি ২০০১ সাল থেকে দাবী করে আসলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত পদবী পরিবর্তন হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিগত ১৯/০৬/২০১১ সালে পদবী পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা। এছাড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে ৮বার প্রস্তাব গৃহীত হলেও এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন সময়ে সুপারিশ থাকা সত্বেও উক্ত কার্যালয়ের কর্মচারীদের দাবী আদায় হয়নি। বার বার আশ্বাস দিয়ে দাবী আদায় না হওয়ায় আমরা এ পৃথক পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেতৃবৃন্দরা জানান- ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ প্রশাসনের জনগণের প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনায়ন, কাজের সাথে সমন্বয় ও ডিজিটাল অফিস ব্যবস্থাপনাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করছেন। মাঠ প্রশাসনের ব্যাপক এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সিংহভাগ কাজ করেন সহকারীগণ। জেলা প্রশাসনে নিয়োগের পর সহকারীগণকে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে বুদ্ধিমত্তা, মেধা, দক্ষতা ও বেশি শ্রম দিয়ে এসব কাজ করে কোনো পদোন্নতি না পেয়ে একই পদে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন গ্রেড অনুযায়ী প্রতিটি পদের নাম পরিবর্তন অথবা মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদেরকে সচিবালয়ের ন্যায় পদোন্নতি প্রদানের বিষয়টি যৌক্তিক মর্মে বাস্তবায়নের মধ্যে সকল বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় ও সকল জেলা প্রশাসক মহোদয় সুপারিশ করেছেন। ইতোমধ্যে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ করার পর মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তন করা হলেও মাঠ পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ অদ্যাবধি বাস্তবায়িত না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।