নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়ক, পানবাজার সড়ক, এন্ডারসন সড়ক, কলাতলী ডলপিন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দৈনিক, মাসিক চাঁদার দাবীতে নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে দোকানঘর তুলে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছে চিহ্নিত বখাটেরা। হয়রানী থেকে রেহায় পেতে স্থানীয় প্রশাসনের সৃদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগিরা।
এন্ডারসন সড়কে ভ্যানে করে চনা-পেঁয়াজু বিক্রি করে এমন কয়েকনের অভিযোগ, প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে তাদের চাঁদা দিতে হয়। নির্ধারিত কয়েকজন বখাটে শ্রেনির যুবক এসব চাঁদার টাকা উত্তোলন করে। যাদের বাড়ি নুরপাড়া, পেশকারপাড়া, হাসপাতালসড়ক ইত্যাদি এলাকায়।
কোন কারণে একদিন চাঁদা দিতে অপারগ হলে পারের দিন দ্বিগুণ পরিশোধ করতে হয় বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে কলাতলী এলাকার এক চায়ের দোকানদার জানিয়েছেন, সায়েদ আক্কাস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিসহ আরো কয়েকজন ব্যক্তি প্রায় সময় তার দোকানে চা-নাস্তা খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। মাসিক চাঁদা দাবী করে। না দিলে প্রশাসন ব্যবহার করে উচ্ছেদের হুমকি দেয়।
ডলপিন মোডের আরেক দোকানদারের অভিযোগ, সাংবাদিক পরিচয়ধারী কয়েকজন ব্যক্তি তার কাছে চাঁদা দাবী করে। হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচ থেকে চাকরিচ্যুত এক ব্যক্তিও এসব অপরাধে জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচের এক অংশীদারের সাথে কথা হলে অভিযোগের বিষয়ে তারাও অবগত বলে জানান। তবে, বিস্তারিত জানাতে পারেন নি। একই অভিযোগ ফ্ল্যাট মালিকদেরও।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো: খাইরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।