সিবিএন ডেস্ক:

ক্ষোভে উত্তাল ইরানে নিজেই জুমার নামাজের ইমামতি করছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। গত আট বছরের মধ্যেই এবারই প্রথম তিনি জুমার ইমামতি করছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) জেনারেল কাসেম গোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনেই ১৭৬ আরোহীসহ বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বিমান। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক তাদের অনুসন্ধানে দাবি করে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে তেহরান বিমান ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে। এরপর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ইরানের সংবাদ সংস্থা মেহেরের খবরে জানা গেছে, ৮০ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ খামেনি তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে চলতি সপ্তাহের জুমার নামাজের ইমামতি করবেন। কিন্তু এর সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে কোনো আভাস দেওয়া হয়নি।

এর আগে ২০১২ সালে ইসলামী বিপ্লবের ৩৩তম বার্ষিকীতে জুমায় ইমামতি করেছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় এ নেতা। তখন আরব বসন্তের প্রভাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তাল ছিল।

দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির মাহদি খালাজি বলেন, জুমার নামাজের এই ইমামতি এক ধরনের প্রতীকী তাৎপর্য বহন করে। ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চান, তখনই এ সময়টা বরাদ্দ রাখা হয়। তিনি বলেন, জুমার ইমামতি সাধারণত খুতবা দেওয়ার ভালো দক্ষতাসম্পন্ন ধর্মীয় নেতাদেরই দায়িত্ব।

বিগত কয়েকদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন শহরে আন্দোলন অব্যাহত হয়েছে। আন্দোলন হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও। তবে সবার দৃষ্টি তেহরানের আজাদি চত্বরে। আন্দোলনে পুলিশের গুলি চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পূর্ণ বিবরণ দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।