জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ:
টেকনাফ উপজেলায় হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছুরিকাঘাতে নিহত জসীম উদ্দিনের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শোক ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর সকাল ৮টায় বিদ্যালয়ে নিহত ছাত্র জসীম উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমের কোরআন পাঠ ও দোআ করা হয়েছে।
শোক ও প্রতিবাদ সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী।
এতে সভাপতিত্ব করেন, প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল চৌধুরী(মুসা)।
বিশেষ অিতথি ছিলেন -নয়াবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু রুপন কান্তি বড়ুয়া, হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম, কানজর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম,নাইক্ষ্যংখালি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন, ১নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য জালাল আহমদ,২নং ওর্য়াডের সাবেক ইউপি সদস্য কবির আহমদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর চৌধুরী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক আশিষ কুমার বেজ্ঞা।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন পাঠ করেন ১০ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ জুনায়েত।
সভায় উপস্থিত বক্তাগণ বলেন, অতিদরিদ্র পরিবারে ছেলে হোয়াইক্যং আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে’র ৮ম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী জসীম উদ্দিনে’র এই নির্মম হত্যাকান্ড কখনো মেনে নেওয়ার মত নই।প্রকাশ্য দিবালোকে এমন খুনে’র ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের দ্রুত আটক করে বিশেষ ট্রাইবুনালে’র মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান।
ছুরিকাঘাতে নিহত জসীম উদ্দিনের পিতা সৈয়দ মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বক্তব্যে বলেন,বিনা কারণে জসীম উদ্দিন কে যারা প্রকাশ্য ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটক করে কঠিন শাস্তির দাবি জানান।
শোক ও প্রতিবাদ সভা শেষে সকলে নিহত ছাত্র জসীম উদ্দিনের জন্য মোনাজাত করে দোআ করেন।
গত ১৫ই জানুয়ারি খেলার বিষয়ের জেরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হোয়াইক্যং আলী আছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ১নং ওয়ার্ডে’র মনিরঘোনা গ্রামের সৈয়দ মিয়ার পুত্র জসীম উদ্দিন (১৫)কে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে খুন করেন ২নং ওর্য়াডে’র বকতার আহমদের পুত্র খাইরুল বশর (২০)।