শাহেদ মিজান, সিবিএন:

ইমরুল কায়েস চৌধুরী; কক্সবাজারের সংবাদ জগতের এক বলিষ্ঠ প্রতীক। রাজনীতির মাঠেও পরোক্ষ পদচারণা রয়েছে তাঁর। সে কারণে গণমানুষের স্পর্শ তাঁর স্বত্ত¡াজুড়ে! তাই মানুষের প্রয়োজনের তিনি হয়ে থাকেন এক অতন্দ্র প্রহরী। কক্সবাজারের বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হলে কখনো তার দৃষ্টি এড়াতে পারে না। তাঁর অনুসন্ধিৎস্যু চোখে সবার আগেই ধরা পড়ে অসঙ্গতিগুলো। শুধু তাই নয়; অসঙ্গতি দূর করতে তিনি হয়ে উঠেন প্রতিবাদের এক মূর্তপ্রতীক! এই নিয়ে প্রায় সময় তিনি ফেসবুকেই করেন তার প্রতিবাদ। সাথে সাথে তাঁর এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে সর্বান্তরে। প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বাস্তব এবং অনলাইন জগতের আলোচিত সেলিব্রেটি! কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কটি নিয়ে প্রতিবাদই তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত!

দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা সড়ক নিয়ে জনগণের সীমাহীন দুর্ভোগ চলছে। কিন্তু কোনোভাবেই টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী এই সড়ক নিয়ে কয়েকটি ‘অবজ্ঞাসূচক’ কার্টুন প্রকাশ এবং ধিক্কার জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি সড়কটি সংস্কারে সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান। একই সাথে চাঁদা তুলে সড়কটি উন্নয়নের কথা জানান ইমরুল কায়েস। তাঁর এই আহ্বান মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এতে সচেতনমহলসহ সর্ব সাধারণ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে এই সড়ক নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কউককে ধিক্কার জানান। এ নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এতে টনক নড়ে কউকের। একদিনের মধ্যেই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এই ঘটনায় সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরীকে নিয়ে শহরবাসীসহ সর্বস্তরের ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তাঁর এই সাহসী উদ্যোগের জন্য সবাই তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।


পেশাগতভাবে সাংবাদিক হলেও সব সময় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে চেষ্টা করেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। এসব নিয়ে তাঁর চিন্তা-ধারাও ব্যতিক্রম। প্রতিবাদের ভাষা বা সব কিছুর একটা ব্যতিক্রমী চিন্তা বের হয়ে আসে তাঁর মধ্য থেকে। তাঁর চিন্তাপ্রসূত এই কথাগুলো ফেসবুকে শেয়ার হলেই ব্যাপক সাড়া পড়ে সর্বত্র; শুরু হয় তোলপাড়। গত কয়েক বছরে এমন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। শুধু কক্সবাজার শহর নয়; জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নানা সমস্যা নিয়েও তিনি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়ায় প্রায় সবক্ষেত্রে ব্যাপক জনসমর্থন সৃষ্টি হয়। এতে কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে বাধ্য হয়েছেন।

কোনো সমস্যা প্রকট হয়ে উঠলে ব্যক্তি সম্পর্ক বা সমীহের উর্ধ্বে উঠে প্রতিবাদ করেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তাঁর এই গুণটি সর্বমহলের ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এভাবে দিনে দিনে তিনি হয়ে উঠছেন প্রতিবাদের এক বিশ্বস্ত প্রতীক। ব্যক্তি স্বার্থের এই সময়েও তাঁর এই উদারতাকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে সর্বমহল থেকে।


উখিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তিখ্যাত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী। মাহমুুদুল করিম চৌধুরী বহু বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। কিন্তু বিগত হয়ে গেলেও এখনো তাঁর জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। কারণ তিনি এখনো জনগণের কাতারে থেকে সুখে-দুঃখে সব সময় মানুষের সাথে থাকেন। পিতার এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগিয়ে চলছেন ইমরুল কায়েস চৌধুরী। পিতার মতো জনমানুষের সাথে একাত্মা হয়ে থাকতে চান তিনিও। তাই কক্সবাজার শহর এবং উখিয়া উপজেলা জুড়ে ইতিমধ্যে ইমরুল কায়েস চৌধুরীর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়েছে।

সাধারণ মানুষে ভাষ্য, মানুষ এখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। নেতারাও মুখে খই ফোটালেও বাস্তবে তেমন কিছু করে না। তাই দিনে দিনে জনগণের দুঃখ বুঝার মানুষের সংখ্যা বেশ কমে যাচ্ছে। এই সংকটময় মুহূর্তে ইমরুল কায়েস চৌধুরী যেভাবে সাহসিকতার সাথে প্রতিবাদ করেন তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বেশ সুফল বয়ে আনবে। তাঁকে অনুসরণ করে অন্যরাও সজাগ হয়ে এগিয়ে আসবে। মিথ্যা প্রতিশ্রুত নেতারাও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাধ্য হবে। ইতোমধ্যে তা দেখা যাচ্ছে। তাই ইমরুল কায়েস চৌধুরীকে সমর্থন দেয়া দরকার। আগামীতেও সব সময় এভাবে দৃঢ়পায়ে প্রতিবাদ জানাবেন তিনি- এমনটি প্রত্যাশা গণমানুষের।
এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারের সমস্যা এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখলে আমি চুপ করে থাকতে পারিনা। এসব দেখলে আমি


কোনোভাবেই নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। তাই প্রতিবাদ জানাতে চেষ্টা করি। প্রতিবাদের কথাটা ফেসবুকে শেয়ার করে মানুষকে সজাগ এবং কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করতে চেষ্টা করি। এতে সব সময় আমি ব্যাপক সাড়া পাই এবং অনেক সমস্যা সমাধানও হয়েছে। এই সাড়া আমাকে বেশ উৎসাহ তৈরি করে।

তিনি আরো বলেন, আমার পিতার জন্য আমি গর্বিত। কারণ তাঁকে জনগণ যেভাবে ভালোবাসে তা আমাকে বেশ উৎসাহ দেয়। আমিও পিতাকে অনুসরণ করে সব সময় জনগণের পাশে থাকতে চাই। যতদিন বাঁচি এভাবে জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে যাবো।