ফারুক আহমদ, উখিয়া :

অস্ট্রেলিয়ান সরকার এর সাহায্য সংস্থা Department of Foreign Affairs and Trade (DFAT) & Australian under the NGO Cooperation Program (ANCP)  এর আর্থিক এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) জি-পপ নামক একটি প্রকল্প উখিয়া উপজেলার ৪টি (রাজাপালং, রতœাপালং, জালিয়াপালং, পালংখালী) ইউনিয়নে গত জুলাই ২০১৮ইং থেকে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দুইটি ধাপে মোট ১৪৪০ পরিবারের দারিদ্রতা বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং এই প্রকল্প আগামী জুন ২০২৩ইং পর্যন্ত চলমান থাকবে।

এই প্রকল্পের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার উখিয়া উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতা ও বিজিএস বাস্তবায়নাধীন জি-পপ প্রকল্প আয়োজিত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী (জিও)-বেসরকারী সেবাদানকারী সংস্থা (এনজিও) ও অতিদরিদ্র পরিবারের সাথে সংযোগ স্থাপন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ জি পপ প্রকল্পের পিসি ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে ও বিজিএস সংস্থার সমন্বয়কারী কায়সার পারভেজ আশরাফীর পরিচালনায় এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাঃ রাজন বড়–য়া রাজন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, রাশেল চৌধুরী, আবু মাসুদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা , উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ মোক্তার আহমেদ, প্যানেল চেয়ারম্যান, রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ। প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থাপন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম ও শুরুতে স্বাগতম বক্তব্য রাখেন বিজিএস এর কায়সার পারভেজ আশরাফী জি-পপ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী পরিবারগুলোর মধ্যে থেকে যারা এলাকার বিদ্যমান বিভিন্ন সেবা সমূহ পাওয়ার যোগ্য এবং বাছাইয়ের শর্তসমূহ পূরণ করে তাদের ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ঠিক আজকের মতই কর্মশালার আয়োজন করে ইউনিয়নের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবার মাঠকর্মীসহ স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতি প্রতিনিধিবৃন্দের তালিকা বিশ্লেষন ও তালিকা দাখিল করা হয়েছে এবং পরবর্তী বাছাই প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। উক্ত তালিকাগুলো একত্রিত করে আজকের এই কর্মশালায় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মহোদয়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহোদয় ও অন্যান্য বিভাগের ও অধিদপ্তরের সম্মানিত প্রতিনিধি মহোদয়ের নিকট বিবেচনার জন্য দাখিল করা হবে এবং পরবর্তী বাছাই প্রক্রিয়ায় এই তালিকাভুক্ত অতি দরিদ্র পরিবারগুলোকে অর্ন্তভ’ক্ত করতে। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত পরিবারগুলো সামাজিক সুরক্ষার সকল সুবিধা যেমন: সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সকল সেবাসমূহের সমান অংশীদার ইউক, অন্যদের সাথে সমানভাবে গুরুত্ব পাক- আজকের কর্মশালার এটাই অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।

পরিশেষে সকলে যথাসাধ্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিয়মনীতি অনুযায়ী অতি দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বাংলাদেশ বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) জি-পপ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের সফলতা কামনা করেন।