সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে সামগ্রিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) কক্সবাজার ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জরুরী সরঞ্জাম বিতরণসহ নানা কর্মকান্ড সম্পন্ন করছে।

ইতোমধ্যে আইওএম দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জরুরী সরঞ্জামাদি স্থানীয়ভাবে গঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবী দলগুলোর মাঝে বিতরণ করেছে। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গত ১৩ জানুয়ারী বিতরণ শুরু হয়। টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল আলম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সিপিপি দলগুলো আইওএমের নেতৃত্বে পরিচালিত প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচী থেকেও ব্যাপক উপকৃত হয়েছে। ইউরোপীয়ান কমিশন (ইকো)-এর সহায়তায় জরুরী সরঞ্জামাদি বিতরণ ১৫ জানুয়ারী, ২০২০ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম ঝড়-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং এই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়-প্রস্তুতিকে আইওএম অগ্রাধিকার দেয়।

আইওএম কক্সবাজারের ট্রানজিশন এন্ড রিকভারি ডিভিশন (টিআরডি)- এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্যাট্রিক শেরিগনন বলেনঃ “এই প্রচেষ্টা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি আইওমের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক। আইওএম জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সহযোগীতা আরো বৃদ্ধি করছে এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের সক্ষমতা বৃদ্ধি আরো জোরদার করে চলছে। আমরা কক্সবাজার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের হুমকি অপসারণ করতে পারব না, তবে আমরা চরম আবহাওয়ার প্রভাব হ্রাস করার জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য জ্ঞানবৃদ্ধি এবং সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করতে পারি।”

ঘূর্ণিঝড়-প্রস্তুতির প্রচেষ্টার অন্যান্য কিছু কর্মকান্ড হলঃ

• আশ্রয়স্থলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বন্যা-ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর বাসস্থানের কাঠামো সংস্কার করা। মোট ১২,০০০ মানুষ আশ্রয়স্থলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ১৮,০০০ মানুষ বাসস্থানের কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে উপকৃত হবেন।

• আইওএম ৬৬ টি উদ্ধার ইউনিটের আওতায় ৯৯০ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জরুরি সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। মোট ৪৮ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য জরুরী সরঞ্জাম ১৩ জানুয়ারীর অনুষ্ঠানে হস্তান্তর করা হয়েছে যার মূল্য ৮৯,৫৭,০৩৬ টাকা।

• আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে ঝুঁকিপূর্ণ বাসস্থাগুলো থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করান্র কাজ চলছে। এই উদ্যোগের আওতায় সম্প্রতি মোট ৪৭,৯৩১ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

• বন্যা এবং ভূমিধ্বসের ঝুঁকিতে থাকা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সংস্কার করায় ১২,১০০ মানুষ উপকৃত হয়েছে। সুবিধাভোগীরা ভাউচার, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং সংস্কারের জন্য নানা সহায়তা পেয়েছে।