বার্তা পরিবেশক :
চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ১০০ রাখাইন পরিবার উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার উপকূল সুরক্ষায় সুপার ডাইক নির্মাণ কাজের অংশ হিসাবে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রাখাইন পল্লীতে এই উচ্ছেদ আতংক বিরাজ করছে। একই সাথে এই এলাকার ৪টি বৌদ্ধ মন্দির ৩ টি শ্মশান বিলিন হয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয় আদীবাসীরা। তাদের দাবী বেড়িবাধ বা সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য জনবসতির পশ্চিমে যথেষ্ট জমি আছে, তাই জনগণের ক্ষতি না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানোসহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়।

চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রাখাইন পাড়ার সমাজ সেবক আ প্রু স্থানীয় এমইউপি উছাচিং, ক্যাছেনম্রীন, মংক্যচিং, থোইনয়াইন, খোমং ১৩ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে জানান, উপকূল সুরক্ষায় সরকার বেড়িবাধ বা সুপার ডাইক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। এতে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রাখাইন পাড়ার ১০০র বেশি রাখাইন পরিবারের তালিকা করেছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। একই সাথে এখানে অনেক মুসলিম পরিবারও রয়েছে। শোনাযাচ্ছে এসব পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে। এতে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে এসব পরিবারের কয়েক হাজার নারী পুরুষ শিশুরা। মূলত রাখাইনরা এখানে বসাবাস করছে প্রায় ৪০০ বছর ধরে। এখানে রয়েছে শত বছরের ৪ টি বৌদ্ধ মন্দির, ৩ শ্মশান সহ অনেক পূরাকীতি  । যা এখন বিলিন হওয়ার পথে। আমাদের দাবী হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন আমরা চাই, কিন্তু জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে নয়,সরকারের দায়িত্বশীল মহল এলাকায় এসে দেখুক এখানে পশ্চিম পাশে অনেক জমি আছে।এছাড়া অনেকের ব্যক্তিগত জমিও আছে সরকার চাইলে সে সব অধিগ্রহন করতে পারে। এখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি গরীব অসহায়, রাখাইন পরিবারকে উচ্ছেদ করে তাদের রাস্তায় নামানোর কোন মানে হয়না। তাই এ বিষয়ে প্রশাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ ব্যাপারে রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বলেন, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রাখাইন পরিবার গুলো খুবই উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে আছে। জনবসতি উচ্ছেদ না করে পরিকল্পিত উন্নয়নে কাজ করাসহ রাখাইন পরিবার গুলোর পাশে দাড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহবান জানান তারা।