জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম-৮ আসনের (বোয়ালখালী চান্দগাঁও) উপনির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে ভোটারদের বের করে দেয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবু সুফিয়ান এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

আজ সোমবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনার বরাবরে দেয়া লিখিত অভিযোগে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি দাবি করেন-অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৌকায় ভোট দিয়েছে। তারা ১৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে অস্ত্রের মুখে ১২০টি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে।

বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে।

এদিকে সোমবার বেলা ১টায় নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী আবু সুফিয়ান একই অভিযোগ তুলে নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় নতুন তারিখ ঘোষণার জন্য ইসির কাছে দাবি জানান।

এসময় তিনি বলেন, ভোটাররা যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য রাতে আমার এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। যারা সকালে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিল তাদের অনেককে রাস্তায় মারধর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সবগুলো কেন্দ্রে সকাল থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ দখল করে নিয়েছে। আমাদের লোকজনকে বের করে দেয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪/৫শ ছাত্রলীগ যুবলীগ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে যাতে দেখানো হয় ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে।

বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনারকে লিখিত দিয়েছি।
এদিকে বেলা সাড়ে ৩টায় নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় দফা সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা আপাততে নির্বাচন বর্জণের ঘোষণা দিচ্ছি না। আমরা আরও পর্যবেক্ষণ করছি ইভিএম নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখবো।

তিনি বলেন, নির্বাচন শুরুর পর সকালে নগরীর খাজা রোডের একটি কেন্দ্রে আমার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক সিনিয়র আইনজীবী সিরাজুল ইসলামকে ছাত্রলীগের ছেলেরা মারধর করে গুরুত্বর আহত করেছে। এছাড়া হাসান প্রাইমারী স্কুল কেন্দ্রে যুবদল নেতা খোরশেদকে মারাত্বকভাকে কুপিয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটা মূলত নির্বাচনের নামে গণতন্ত্রের সাথে, জনগণের সাথে আবারও প্রহসন করেছে আওয়ামী সরকার।