সেলিম উদ্দিন দিদার, রিয়াদ থেকে:
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দূতাবাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ড. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্তে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা।

স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য কাজ করছিলেন তখনই ঘাতকেরা তাঁকে হত্যার মাধ্যমে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্তে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তাঁর গতিশীল নেতৃত্তে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার।

ড.নজরুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২১ লক্ষ বাংলাদেশী বসবাস করছে। মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিদেশীদের পাশাপাশি বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্যও নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দূতাবাস। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে পরিচয় করে দেয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশী কমিউনিটির ৮টি স্কুলে বছরব্যাপি নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

দূতাবাসের মিনিস্টার এস এম আনিসুল হক মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য কমিউনিটির নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। প্রথম সচিব (প্রেস) মোঃ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাঁসে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাঈদ সিদ্দিকী ও ইকোনমিক মিনিস্টার ড. মোঃ আবুল হাসানও বক্তব্য প্রদান করেন।

রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মুজিব বর্ষ উদযাপনের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

আলোচনা শেষে মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র ও প্রদর্শন করা হয়।