মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ, পেকুয়াঃ

দখল-দূষণে হারিয়ে মৃত্যুর ক্ষণ গুনছে পেকুয়ার কহলখালী খালটি। ময়লা-আবর্জনায় ভরে উঠেছে খালের বেশির ভাগ অংশ। দুই পাশের অনেক জায়গায় বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন মার্কেটসহ ব্রীজ নির্মাণ করে দখল করা হয়েছে। অভৈধ দখল উচ্ছেদের কার্যকর অভিযান ও দীর্ঘদিন খাল সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় খালের পানিপ্রবাহ প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই খাল উপচে প্রতিবছর বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চৌমুহনী থেকে পেকুয়া বাজার প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত খালে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর। এই খালে ফেলা হচ্ছে উজেলার চৌমুহনী স্টেশনের ময়লা, পেকুয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার ময়লা, ডা: মুজিবুর রহমান পরিচালিত নুর হাসপাতালের ময়লা, বিশ্বাস পাড়া ব্রীজের পাশের ময়লা, জনতা ব্যাংক সংলগ্ন সাবেক ইউপি সদস্য মানিকেরর নেতৃত্বে খাল দখল করে ব্রীজ নির্মাণ, খাল দখল করে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক মার্কেট এসডিসিটি সেন্টার, বৃহৎ প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ বাজারের ময়লা আবর্জনা এই খালে এবং রাস্তার পাশে। যার ফলে খালটি সরু হয়ে গেছে। এবং হয়ে উঠছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এদিকে খালটির দুপাশে দখল করে গড়ে উঠছে অনন্ত ৫শতাধিক দোকান।

স্থানীয়রা বলেন ,বোরো মৌসুমে এই খালের পানি দিয়ে অন্তত ১০০ একর জমিতে সেচ দেওয়া হতো। খালের পানি দিয়ে কৃষি জমির উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি বর্ষাকালে বন্যা, জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে খালটিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে দখলের ধারাবাহিক প্রতিযোগিতা চলছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে। যার জায়গার পাশ দিয়ে খালটি গেছে তিনিই খালপাড় কেটে ভরাট করে গড়ে তুলছেন মার্কেট, দোকানসহ ঘর বাড়ি।

স্থানীয় কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমরা কৃষকরা বোরো মৌসুমে জমিতে আগের মত সেচ এবং সবজি চাষ করতে চাই। সেই সাথে জলাবদ্ধতা থেকেও মুক্তি পেতে খালটি খনন করে এবং খালের দুপাশে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক। এরি সাথে ফিরে পাবে কহলখালী খালের প্রাণ।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইকা সাহাদাত বলেন, কহলখালী খাল দখল ও দূষণ রোধে অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালানো হবে। এবং এই খালটি সহ পেকুয়ার আরও বেশ কয়েকটি খাল খনন কাজ শুরু হবে।