আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ভোমরিয়া ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও পুর্ণগ্রাম বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহিষ শ্রমিককে আটক করে নির্যাতন ও মামলায় ফাঁসানের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের উৎকোচ আদায়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১১ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায়। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শনিবার দুপুরে উক্ত বনবিটের আওতাভুক্ত বনজ সম্পদ ক্ষতির অভিযোগে চরণে থাকা মহিষ গুলো পুর্ণ গ্রাম বিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন বন কর্মীদের সহায়তায় জব্দ করে স্থানীয় খোঁয়াড়ে দেয়।পরে খোঁয়াড় কর্তৃপক্ষ জরিমানা আদায় করে মহিষ ছেড়ে দেয়।কিন্ত অসাধু বিট কর্মকর্তা এতে ক্ষান্ত না হয়ে খুটাখালী ইউনিয়নের উমখালী এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে মহিষ শ্রমিক কবির আহমদ (৪৭)কে দিনভর বিট অফিসে আটকে রেখে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগী কবির আহমদ জানান, জরিমানা বাবদ ১ হাজার টাকা আদায় করে খোঁয়াড় কর্তৃপক্ষ মহিষ ছেড়ে দিলেও বিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন রেন্জ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের নির্দেশে তাকে সারাদিন আটকে রেখে মারধর করে এবং মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা উতকোচ আদায় করে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়। তার শরীরে নির্যাতনের আঘাত থাকায় সে এখন চিকিৎসাধীন বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন। রেঞ্জ কর্মকর্তা মহিষ আটক করে খোঁয়াড়ে দেয়া এবং শ্রমিক আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অপরদিকে বিট কর্মকর্তা রুহুল আমিন মহিষ খোয়াড়ে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কাউকে আটক করেন নি বলে জানান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ দুই কর্মকর্তার যোগসাজশে দিনের পর দিন বনভূমি দখল, বনজ সম্পদ ধ্বংস হলেও ভুমি খেকোদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে তাদের সাথে অবাধ যোগাযোগ ও চলাফেরা করতে দেখা যায়। গবাদি পশু মহিষ আটক করে জরিমানা আদায়ের পর,আবার অন্যায়ভাবে শ্রমিক আটক করে নির্যাতন পূর্বক উৎকোচ আদায়ের ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এলাকার সচেতন জনগণ তদন্ত পূর্বক এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন