ইমাম খাইর, সিবিএনঃ

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের স্বার্থ সংরক্ষণ নিয়ে যারা কাজ করে তাদের অন্যতম সংগঠন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’র মিলন মেলা শহরের শৈবাল পয়েন্টে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী মিলন মেলায় আনন্দে মেতে উঠে অংশ গ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানের সময়সূচি সকাল দশটা হলেও সকাল সাড়ে ৮ টা বাজতে না বাজতেই ঝাউবিথীতে জমায়েত হতে থাকে নিবন্ধিত সদস্যরা। মাথায় লাল টুপি ও গায়ে সবুজ টি শার্ট পরে যে যার মতো করে আনন্দ উপভোগ করে।
বেলা পৌনে ২ টার দিকে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।
সংগঠনের সমন্বয়ক মহসীন শেখের সঞ্চালনায় মিলান মেলার অনানুষ্ঠানিকতার প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অন্যতম সমন্বয়ক করিম উল্লাহ কলিম।
মিলন মেলার বিশেষ উদ্যোক্তা ও সংগঠনের সমন্বয়ক জাপা নেতা মোঃ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন -কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মোঃ শাহজাহান, কক্সবাজার সিভিল সোসাইটিজ ফোরামের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহেনা আকতার পাখি, জেলা জাপার সভাপতি মেহেরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মুফিজ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী, বিএনপি নেতা এডভোকেট মোঃ আবদুল্লাহ, মানবাধিকার সংগঠক এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, নারী নেত্রী ফাতেমা আনকিজ ডেজি, জেলা ছাত্র লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের সংগঠন কারো একা নয়, সবার। একেকজন একেক দল করলেও কক্সবাজার নিয়ে আমরা কোন দল করব না। কক্সবাজারের স্বার্থে আমরা সবাই একতাবদ্ধ। আমাদের প্রাণের কক্সবাজার বাঁচাতে এক কাতারে দাঁড়িয়েছি। কক্সবাজার নিয়ে কারো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।
বক্তারা আরো বলেন, বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দপ্তরের নামের পর্যটন নগরীর পাহাড়গুলো নিধন করা হচ্ছে। একে একে সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করছে একটা শ্রেণী। চরম ঝুঁকিতে আগামীর কক্সবাজার। সময় থাকতে সবাইকে জেগে ওঠতে হবে।
বক্তারা দুঃখ করে বলেন, নিজেদের পৈত্রিক সম্পদের মতো করে একটা শ্রেণী কক্সবাজারকে গ্রাস করছে। হিংস্র বাঘের মতো হয়ে আছে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে। রোহিঙ্গারা সব পাচ্ছে। আমাদের এলাকায় কেন আমরা পরবাসী হচ্ছি?
বিশেষ করে, সৈকতের বালিয়াড়ি দখলে নিয়ে যারা স্থাপনা করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত আওয়াজ তুলতে হবে। সাগরপাড়ের ঝুঁপড়ি দোকানগুলো উচ্ছেদ ও পর্যটন নগরীকে বাঁচাতে প্রয়োজনে আমরা জীবন বিলিয়ে দেব।
প্রথম বারের মতো ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’ সংগঠনের মিলন মেলায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সবার স্বতঃস্ফূর্ততায় সম্প্রীতির নতুন মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন স্তরের সুধিমহল অংশ গ্রহণ করে মিলন মেলাকে সফল ও স্বার্থক করে তুলে।
আলোচনা সভা শেষে সবাই মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করে।