শাহেদ মিজান,  সিবিএন:

মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের চার মৌজায় নতুনভাবে অধিগ্রহণ হতে যাওয়া জমির সাত ধারার নোটিশ ফিরিয়ে দিয়েছে জমির মালিকেরা। আজ শনিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা নোটিশ নিয়ে যান। তবে ন্যায্য মূল্যের দাবি জানিয়ে নোটিশ গ্রহণ না ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।

ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালারমারছড়া, ঝাপুয়া, ইউনুছখালী ও কালিগঞ্জ মৌজায় নতুন করে ১৪০০ একর জমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝাপুয়া মৌজায় ৮৫১ একর, কালিগঞ্জ মৌজায় ৪৪৯ একর, ইউনুছখালী মৌজায় ৫১ এবং কালারমারছড়া মৌজা থেকে ৪৯ একর জমি অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে। ইতোমধ্যে চার ধারা সম্পন্ন করে সাত ধারা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার আবদুল বারেক ও আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৮জনের একটি দল ঝাপুয়া মৌজার জমি মালিকদের সাত ধারা নোটিশ দেয়ার বিলি করতে যান। খবর পেয়ে জমির মালিকেরা সর্দারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়। কিন্তু নোটিশের সাথে মূল্য নির্ধারণ না হওয়ায় জমির মালিকেরা নোটিশ গ্রহণ করেননি। তাদের দাবিকৃত একর প্রতি আড়াই কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ না হলে নোটিশ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

‘ক্ষতিগ্রস্ত জনতার ন্যায্য ক্ষকিপূরণ আদায় পরিষদ-কালামারছড়া’র সদস্য সচিব রিয়াজ মোর্শেদ সিবিএনকে জানান, কালামারছড়ার যে চার মৌজায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার একরপ্রতি মূল্য আড়াই কোটি টাকা দাবি জমির মালিকদের। এই নিয়ে তারা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে নানাভাবে সভাসহ নানা কর্মসূচী আয়োজন করে আসছে। অধিগ্রহণ শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার বার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকি কত টাকা মূল্য নির্ধারণ হয়েছে গোপন রাখা হয়েছে। তাই জমির মালিকেরা নোটিশ গ্রহণ করেনি।

এসময় জমির মালিকেরা দাবি করেন, তাদেরকে ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত করার জন্যই ‘ক্ষতিগ্রস্ত জনতার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায় পরিষদ-কালামারছড়া’র আহ্বায়ক  মীর কাশেমকে পরিকল্পিতভাবে আটক করা হয়েছে।

রিয়াজ মোর্শেদ বলেন, বিষয়টি আমরা কয়েক দফা সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের সাথে আলাপ করেছি। তিনি ন্যায্য মূল্যের পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই আড়াই কোটি টাকা না হলেও সমঝোতার মাধ্যমে একটা ন্যায্য মূল্য আমাদেরকে দিতে হবে। না হয় আমরা জমি ছাড়বো না।

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার আবদুল বারেকে মুঠোফোনে কল না ঢুকায় তাৎক্ষণিক তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।