১০ জানুয়ারী দৈনিক আস্থা নামক একটি অনলাইনে আমার বিরুদ্ধে ‘ইয়াবাকারবারী আবদুল খালেকের উত্থান যেভাবে’ – সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত  অনলাইনের ভূয়া সংবাদে উল্ল্যেখ করা হয় আমি নাকি ইয়াবা কারবার করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। আর টেকনাফের বিভিন্ন ইয়াবা গডফাদারদের সাথে নাকি আমার যোগাযোগ আছে। সংবাদে আরো বলা হয় আমি নাকি রোহিঙ্গাদের দিয়ে ইয়াবা পাচার করে আলিশান জীবন যাপন করি।

প্রকৃত পক্ষে আমি একজন টেকনাফ বাহারছড়া দক্ষিণ শীলখালীর গ্রামের সহজ সরল যুবক হই। ২০১২ সালে আমার পিতার মৃত্যুর পর মুলত আমি জীবন সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ি। তাই প্রথমে আমি দর্জি কাজে প্রশিক্ষিত হয়ে কক্সবাজারে বিভিন্ন জনপ্রিয় দর্জি দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। পরে সেখান থেকে আরো একটু আর্থিক সচ্চলতার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাই। আমি বিদেশ থেকে এলাকায় এসেছি মাত্র কয়েক মাস হবে। অন্যদিকে আমি কোনো আলিশান জীবন যাপন করিনা এবং কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ও জড়িত না। আমার কথা বিশ্বাস না হলে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা আমার এলাকায় তদন্ত করে দেখুক। যদি আমি অপরাধী হই তাহলে আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তি হবে তা মাথা পেতে নিব। প্রকৃত পক্ষে এলাকার কিছু প্রতিহিংসা পরায়ন লোক প্রতিহিংসায় বসবসতি হয়ে আমার বিরুদ্ধে ভূয়া নিউজ ও অপপ্রচারে নেমেছে। যেটা খুবই দুঃখজনক বলে আমি মনে করি। তারপরও তাদের প্রতি আমার কোনো রাগ বা ক্ষোভ নেই। শুধু তাদের অনুরোধ করব তারা যেন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ গুলো বন্ধ করে। পরিশেষে এই মিথ্যা ও ভূয়া সংবাদে কাউকে বিভ্রান্তি না হতে বিনীত অনুরোধ করে উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

প্রতিবাদকারী
আবদুল খালেক( হাসেমী)
দক্ষিণ শীলখালী, বাহারছড়া, টেকনাফ, কক্সবাজার।