মোহাম্মদ উল্লাহ, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরএলাকার করাইয়াঘোনা এলাকায় মাস্টার দিদারুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি পানি চলাচলের কালভার্ট দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কালভার্ট দখল করায় ওই এলাকার অন্তত ২০ একর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে পানিতে নিমজ্জিত থাকবে অন্তত দুইশত পরিবার।

সরেজমিন দেখা যায়, করাইয়াঘোনা এলাকায় রাস্তার উপর একটি কালভার্টের দুই পাশে স্কেভেটের দিয়ে মাঠি কেটে দুই পাশে পুকুর তৈরী করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে পানিচলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানির নিচে তলিয়ে যাবে প্রায় ২০ একর চাষাবাদের জমি।

করাইয়াঘোনা এলাকার বাসিন্দা নূর আহমদ বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে ওই কালভার্ট দিয়ে পানি চলাচল করে আসছে। এলাকার দিদার মাস্টার নামের এক ব্যক্তি পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ায় আমার জমিগুলো চাষাবাদের আযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে।

দিদার মাস্টার ইতোপূর্বে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচরণের জণ্য চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন। সে ওই এলাকার স্কুল প্রতিষ্টার নামে করাইয়াঘোনা এলাকার শিক্ষানুরাগী এমএ গণির কাছ থেকে নামে মাত্র মুল্যে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করে মাস্টার আমির-দিদার শিক্ষালয় নামে একটি স্কুলের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়। কিন্তু গত বছর ওই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হলেও পরের বছর এর কোন অস্তিত্ব খুজে পায়নি কেউ। ওই স্কুল ভবনে তিনি টমটমের গ্যারেজ ও গরুর গোয়াল ঘর বানিয়ে রেখেছেন। তার নানা অত্যচারে এলকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কালভার্টের অদূরে আমার দুই একর জমি রয়েছে। পানি চলাচলে পথ বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ করা যাচ্ছেনা। পানি চলাচলের পথ দখল করে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করায় আমার মতো অন্তত ২০ একর জমির মালিক দূর্ভোগে পড়বে।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন বলেন পানি চলাচলের কালভাট দখল করে চিংড়ি চাষ করার জন্য বাধঁ দিয়ে পানি আটকিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোকের ক্ষতি করে এইভাবে মাছ চাষ করা সম্পুর্ণ অবৈধ। আমারা ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থনীয় লোকজনকে নিয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাছে লিখিত অভিযোগ করব । আশাকরি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।