ফারুক আহমদ, উখিয়া :
অস্ট্রেলিয়ান সরকার এর সাহায্য সংস্থা Department of Foreign Affairs and Trade (DFAT) & Australian under the NGO Cooperation Program (ANCP) এর আর্থিক এবং ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায়, ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ, বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) জি-পপ নামক একটি প্রকল্প উখিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন যথাক্রমে রাজাপালং, রত্না পালং, জালিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নে গত জুলাই ২০১৮ইং থেকে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দুইটি ধাপে মোট ১৪৪০ পরিবারের দারিদ্রতা বিমোচনের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং এই প্রকল্প জুলাই ২০১৮ইং হতে জুন ২০২৩ইং পর্যন্ত চলমান থাকবে।
উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ জানুয়ারী সোমবার বেলা ১২:০০ ঘটিকা রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ প্রঙ্গনে রত্নাপালং ইউনিয়নের দেশী মুরগী পালনের ও বাণিজ্যিক ভাবে সবজি চাষ করতে আগ্রহী অতি দরিদ্র ১৭৩ পরিবারের মাঝে মুরগী ঘর তৈরীর জন্য কাঠ, নেট, রঙিন টেউ টিন ও হার্ডওয়্যার আইটেম বিতরণ এবং বাণিজ্যিক ভাবে সবজি চাষ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ০৬ পরিবাররের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী । বিশেষ অতিথি ছিলেন রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাঃ খাইরুল আলম চৌধুরী । এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার মীর আহমদ চৌধুরী, মেম্বার মোকতার আহমদ, মেম্বার মোঃ মাহবুবুল আলাম, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হরিদাস পাল, ওয়ার্ল্ডভিশন জি-পপ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলীসহ ওয়ার্ল্ডভিশন জি-পপ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বিজিএস জি-পপ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী কায়সার পারভেজ আশরাফী। সহায়তা করেন বিজিএস জি-পপ প্রকল্পের অন্যান্য সহকর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত উপকারভোগী পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং স্বহস্তে বিতরণ শুরুর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপকারভোগীদের প্রাপ্ত সম্পদেও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। বাংলাদেশ বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) জি-পপ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের প্রসংশা ও সফলতা কামনা করেন।