মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম

প্রথমা প্রকাশন থেকে রোহিঙ্গা: নিঃসঙ্গ নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী শিরোনামের একটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। বইটির লেখক মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক কনস্যুলেট প্রধান মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম। সেই বইয়ের অংশবিশেষ, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মিয়ানমার—এই দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, স্বার্থ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়েছে তা প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য তিন পর্বে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হচ্ছে। আজ প্রথম পর্ব।

প্রায় তিন দশক ধরে চীন তার সামগ্রিক উন্নয়নে এক অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশ্ব মানচিত্রে নিজ উন্নয়নের এই উজ্জ্বল উপস্থিতিকে নিরাপদ, নিশ্চিত ও বিকাশমান রাখতে চীন তার শিল্পের কাঁচামাল, বিশেষ করে জ্বালানি সরবরাহ, বাজার ও যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট যেমন চীন বিবেচনায় নিয়েছে, তেমনি নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ায়ও চীন যত্নশীল। জার্নাল অব ডিফেন্স স্টাডিজ–এ এক লেখায় এইচ শিবানন্দা লিখেছেন, ‘এ রকম একটি প্রেক্ষাপট চীনকে তার নিকট প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারসহ দুনিয়ার সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।’

এ লক্ষ্য সামনে রেখে মিয়ানমার যখনই বিশ্বসম্প্রদায়ের কোনো চাপের মুখোমুখি হয়েছে, তখনই চীন মিয়ানমারের প্রতি তার সহায়তার, সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্য রোহিঙ্গা’স ইনসাইড মিয়ানমার’স হিডেন জেনোসাইড বইয়ের লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসির পরিচালক ও ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের গবেষক আজিম ইব্রাহিম সিবিএস রেডিও নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘চীন চাইলে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে পারে। কারণ, মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। কিন্তু চীন কখনো মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করবে না বলেই মনে হয়। চীন অবশ্যই মিয়ানমারকে হাতে রাখতে চাইবে। কারণ, সেখানে তার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে।’

আজিম ইব্রাহিমের ব্যক্ত এই আশঙ্কা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ, ‘চীন সময়মতো মিয়ানমারে জলবিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, খনিজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রায় ৬২টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।’ চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁদের প্রাচীন বাণিজ্য পথ সিল্ক রুটের পুনরুজ্জীবনের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। চীনের এ মহাপরিকল্পনায় মিয়ানমারও যুক্ত। এ লক্ষ্যে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ‘চায়না-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডর’ নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এটি বাস্তবায়িত হলে তা চীনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যের পথ অবারিত করে দেবে। বলা হচ্ছে এই চুক্তি অনুযায়ী নির্মিত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার সড়ক চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ের সঙ্গে মিয়ানমারের মান্দালয়-ইয়াঙ্গুন এবং রাখাইন প্রদেশের চকপিউকে সংযুক্ত করবে। চকপিউতে চীন তার কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলতে আগ্রহী এবং এখানে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।

চায়না-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের মূলে রয়েছে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। চীনের এই উদ্যোগের পেছনে কাজ করছে তাদের প্রাচীন ঐতিহাসিক সিল্ক রুট পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পশ্চিমের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য পথের পুনঃসংযোজন। চীন তার এ লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘদিন যাবৎ মিয়ানমারকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির ক্ষেত্রে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ সমর্থনের পেছনে চীনের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বিদ্যমান। অর্থনৈতিক উল্লেখযোগ্য স্থাপনার মধ্যে রয়েছে চকপিউ–কুনমিং গ্যাস পাইপলাইন। ২ হাজার ৫২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন রাখাইনের চকপিউ থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ চীনের কুনমিংয়ের রুইলিতে শেষ হয়েছে। এ গ্যাস পাইপলাইন বছরে ১২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাস রাখাইনের থা শোয়ে গ্যাসফিল্ড থেকে দক্ষিণ চীনে সরবরাহ করবে।

চকপিউ-রুইলি (কুনমিং) গ্যাস পাইপলাইন রাশিয়া–চায়না জ্বালানি তেল পাইপলাইন, মধ্য এশিয়া–চায়না পাইপলাইন এবং মালাক্কা প্রণালি জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার পর চীনের জন্য এটি হবে চতুর্থ কৌশলগত জ্বালানি সরবরাহ পাইপলাইন। চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনে চীন ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর থেকে পুরোদমে গ্যাস সরবরাহ পেয়ে যাচ্ছে। চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইন কৌশলগতভাবে চীনকে মালাক্কা প্রণালির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের পাশাপাশি চীন জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্যও পাইপলাইন স্থাপন করেছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে চীন রাখাইন থেকে বছরে ২২ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল তার দক্ষিণ অঞ্চলে সরবরাহ করবে। মিয়ানমার এ গ্যাস ও তেল পাইপলাইন থেকে বছরে ২ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস এবং ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল গ্রহণ করছে। কলিন কো সিঙ্গাপুরের নানইয়াং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর মন্তব্যে বলেন, মিয়ানমার চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান। চীন বিকল্প পথ হিসেবে মিয়ানমারের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আমদানি করা ৮০ শতাংশ গ্যাস ও জ্বালানি তেল আমদানি করতে সক্ষম হবে।

চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে চীন তার অন্যান্য অঞ্চল ছাড়াও ইউনান, ঘুজলিয়ন ও গোয়াংজি—এই তিন প্রদেশে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করে যাচ্ছে। চীন এখন কুনমিং থেকে চকপিউ পর্যন্ত সড়ক সংযোগও গড়ে তুলছে। এ প্রসঙ্গে মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক দ্য ইরাবতীর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টার বলেন, ‘মিয়ানমারে চীনের প্রধান আগ্রহ মিটশোনে নয়, বরং চকপিউ। ইউনান থেকে চকপিউ পর্যন্ত দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ, চকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর এবং চকপিউকে ঘিরে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল—চীনের ভূবেষ্টিত ব্যাপক অঞ্চলকে ভারত সাগরে অবাধ প্রবেশের এক অবারিত পথ খুলে দেবে। চকপিউকে ভিত্তি করে শুধু বাণিজ্য নয়, চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনেও সচেষ্ট।’

চীন ভবিষ্যতে মালাক্কা প্রণালির জ্বালানি তেল আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে চকপিউ-কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তার জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। চকপিউ–কুনমিং গ্যাস পাইপলাইনকে ঘিরে চীন Maritime Silk Route গড়ে তুললে তাদের স্বপ্নের রেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়েছে।

কাচিন স্টেটের রাজধানী মিকথিনা থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরে ইরাবতী নদীর উৎসমুখের ওপর মালি কা এবং না মি কাতে নির্মিত হচ্ছে মিটশোনে ড্যাম (বাঁধ)। এই প্রকল্প এলাকা থেকে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা সাগাইং ফল্টের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। তাই পরিবেশ ও প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বিকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে আরও অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে এই বাঁধ নির্মাণ ২০১৫ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে মিয়ানমার-চীনের সম্পর্কে সে সময় বেশ টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপকতা এবং এ সমস্যায় মিয়ানমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেলে চীন মিয়ানমারের পাশে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের প্রস্তাবে একের পর এক ভেটো দিয়ে চীন মিয়ানমারকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে। এই সূত্রে মিটশোনে ড্যাম নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের কালো মেঘ কেটে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হলেও তা যেন আবারও স্থানীয়দের বাধার মুখোমুখি হতে চলেছে।

অন্যদিকে ২০১৯ সালে শেষ হতে যাওয়া মিটশোনে ড্যাম নির্মিত হলে এ জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের উত্পাদনক্ষমতা হবে ১৩ হাজার ৩৬০ মেগাওয়াট। উত্পাদিত বিদ্যুতের প্রায় পুরোটাই যাবে চায়নায়। চায়না পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির হিসাবে এ প্রকল্প থেকে মিয়ানমার বছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী ৫০ বছরে সাকল্যে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। চীন ও মিয়ানমার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে ২৫ এপ্রিল ২০১৯ তিনটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেসব কারণে মিয়ানমারের পক্ষে: ক. ভূকৌশলগত কারণে মিয়ানমারের গুরুত্ব বিবেচনা। চীন নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমারকে একুশ শতকের ভূকৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাছে টানছে। চীনারা মিয়ানমারকে কাছে টেনে একুশ শতকে তাদের জন্য বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগরে প্রবেশের বাধাহীন পথ নিশ্চিত করছে। খ. চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থ। এর মধ্যে চকপিউ-কুনমিং গ্যাস এবং তেল পাইপলাইন, মিটশোনে ড্যাম), এবং চকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর ঘিরে মেরিটাইম সিল্ক রুট গড়ে তুলে স্বপ্নের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া ইত্যাদি। বর্তমানে চীন থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের পর মিয়ানমারে তৃতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। গ. বেইজিংভিত্তিক সামরিক বিশ্লেষক লি জির ভাষ্য হলো চীন-মিয়ানমার গভীর সামরিক সম্পর্ক এই অঞ্চলে চীনের স্বার্থরক্ষায় অনুকূল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। কারণ, ভবিষ্যতে মিয়ানমার চীনের অন্যতম বাণিজ্য পথ হতে যাচ্ছে।

লি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে মালাক্কা প্রণালির ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর চীনের বিরুদ্ধে যেকোনো অবরোধ ব্যর্থ করে দিতে মিয়ানমারের বাণিজ্য পথ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’ এপ্রিল ২০১৯ মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লাইং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সাক্ষাতে বলেন, ‘রাখাইন স্টেটের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যথাযথ ভূমিকা পালনের জন্য মিয়ানমার চীনের প্রতি কৃতজ্ঞ। মিয়ানমার সেনাবাহিনী চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড বাস্তবায়নে সহায়তার হাত বাড়াতে সব সময় প্রস্তুত।’ সিনিয়র জেনারেল মিন অংয়ের বক্তব্য নিশ্চিতভাবে চীনা কর্তৃপক্ষকে তাদের ভূকৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারকে যতই চেপে ধরেছে ভেবে আত্মতুষ্টি লাভ করছে, চীন মিয়ানমারকে ততই কাছে টেনেছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী চীনের পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গেও বর্তমানে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। ২০১৯-এর এপ্রিলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হ্লাইং চীনের পাশাপাশি রাশিয়াও সফর করেছেন। এ প্রসঙ্গে জেনারেল মিন অং বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক সরবরাহ পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আসে না, বরং তা আসে চীন ও রাশিয়া থেকে। সুতরাং পশ্চিমা বিশ্বের যেকোনো ধরনের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমারকে প্রভাবিত করতে পারবে না।’

লেখক: মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম: মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক কনস্যুলেট প্রধান