ডেস্ক নিউজ:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের যারা চলতি দায়িত্বে আছেন, তাদের জন্য সুখবর আসছে। দ্রুতই তাদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কারণে নতুন করে আর এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে না।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হোসেন।

এ বিষয়ে সচিব বলেন, আদালতে মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ কারণে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসনের বিপরীতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষদ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে চলতি দায়িত্বে থাকা এসব শিক্ষকদের মূল বেতনের অতিরিক্ত আরও এক হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে আর কোনো সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে এসব শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিতে মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নিয়োগবিধি অনুযায়ী দশম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগ পিএসসির আওতাভুক্ত। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানকারী এ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ কার্যক্রম তাদের কাছে হস্তান্তর করতে যৌক্তিক কারণ জানতে চেয়েছে পিএসসির কাছে।

সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘আমরা অন্যান্য সংস্থার মতো প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যথাযথ ব্যাখ্য প্রদান করব। পিএসসি থেকে হস্তান্তর করা হলে পর্যায়ক্রমে চলতি দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। নতুন করে সরাসরি নিয়োগ বাতিল করে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে বসানো হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।’

জানা গেছে, আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষদের পদোন্নতি দিয়ে ৬০ শতাংশ প্রধান শিক্ষক এবং ৪০ শতাংশ পিএসসি থেকে নিয়োগ দেয়া হতো।

পিএসসি থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা ১০তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা পান আর সহকারী শিক্ষদের মধ্যে পদোন্নতি পেয়ে এ পদে আসলে ১২তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পান। এ বৈষম্য দূরীকরণে আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। শূন্য আসন পূরণে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের চলতি দায়িত্বে এ পদে বসানো হয়।