মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের (প্রতিবন্ধী) বিশেষায়িত স্কুল “অরুণোদয়” এ অটিস্টিক শিশু আল আমিনের সুমধুর কন্ঠে “মধু হই হই বিষ খাবাইলা, হন হারনে ভালাবাসার দাম নদিলা”- জনপ্রিয় গানটি শুনে স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছেন। অরুণোদয় স্কুল পরিদর্শনকালে স্পীকার এ গানটি শুনেন। গান শোনার সময় অবাক বিস্ময়ে অটিস্টিক শিশু আল আমিনের দিকে থাকিয়ে ছিলেন-স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
অরুণোদয় পরিদর্শনকালে স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের (প্রতিবন্ধী) বিশেষায়িত স্কুল “অরুণোদয়” সারাদেশের জন্য একটা রোল মডেল। এ বিশেষ প্রতিষ্ঠানটিকে অনুসরণ করে সারাদেশে প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের জন্য আরো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যেতে পারে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী কক্সবাজারে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত স্কুল “অরুণোদয়” এর কার্যক্রম পরিদর্শন করে এ মন্তব্য করেছেন। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী অরুণোদয় এ পৌঁছালে অরুণোদয় এর শিক্ষার্থীরা তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী অরুণোদয় এ সঙ্গীত ক্লাস, ভোকেশনাল কার্যক্রম, ফিজিওথেরাপি ও চিত্রাঙ্কন কার্যক্রম দেখেন। এসময় বাক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জিদানের অংগভঙ্গী দিয়ে করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষন, মৌমিতা আইচ বাধনের অঙ্কিত বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে অভিভুত হন স্পীকার। অরুণোদয় এর শিক্ষার্থী আল আমিনের গাওয়া “মধু হই হই বিষ খাবাইলা, হন হারনে ভালাবাসার দাম নদিলা”- জনপ্রিয় গানটি শুনিয়ে স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী সহ অন্যান্যদের মুগ্ধ করেন। এ গানের ভিডিও ফুটেজটি ইতিমধ্যে এমপি জাফর আলম, এমপি আশেক উল্লাহ রফিক এর নিজস্ব ফেসবুক পেইজ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
অরুণোদয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজালাল জানান, অত্যন্ত প্রাণবন্ত পরিবেশে স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী অরুণোদয় এর শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম উপভোগ করেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন অরুণোদয় এর মতো একটি কল্যাণধর্মী ও ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে মানবিক গুনাবলী, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি দরকার। স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সেই মানবিক গুনাবলীর বহিঃপ্রকাশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে অদম্য প্রচেষ্টায় অরুণোদয় গড়ে তুলেছেন। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যে প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনকে চিরদিন স্মরণ রাখবে।
এসময়, অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার-১, ২ ও ৩ আসনের সংসদ সদস্য যথাক্রমে জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক ও অরোণোদয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামাল হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব উপসচিব) আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকসুদ মিয়া, চ্যানেল আই এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আজম মানিক, স্পীকারের সফরসঙ্গীবৃন্দ, অরুণোদয় এর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।