শাহীন মাহমুদ রাসেল:

কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনার আজ ৩দিন পার হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থরা এখনও খোলা আকাশের নীচে অসহায় দিনাতিপাত করছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার দ্বারস্থ হওয়ার পরও মিলেনি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা। আবহাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহ ও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থাকায় ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের কষ্ট বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে দাড়িয়েছে।

গত ৩জানুয়ারী জুমাবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজার শহরের নতুন বাহারছড়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কন্যাশিশু দগ্ধ হয়ে নিহত এবং কমপক্ষে ১২টি কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি ভস্মিভূত হয়। এঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারে ৫টি করে কম্বল দেওয়া হয় এবং নিহত শিশুর পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ত্রাণ সহায়তা করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো ত্রাণ সহায়তা তাদের দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সেদিনের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ইসমত আরা (৩৫) স্বামী শামসুল আলমের শ্যালক গণমাধ্যমকর্মী নাজিম উদ্দিন জানিয়েছেন- অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার বোনের পরিবার ও ঘরবাড়ি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, তৈজষপত্রসহ কমপক্ষে ১০/১২ লক্ষ টাকার মালামাল সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এরপর থেকে পরিবারটি ভয়াবহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। এভাবে আরও অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোও মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হচ্ছেন। শীতকালীন আবহাওয়া এবং অসময়ের বৃষ্টির ফলে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন মানুষগুলো অধিক কষ্ট পাচ্ছে।

এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তৎপরতা সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পৌর কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোন সারাদিন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে জেলা ত্রাণবিষয়ক কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- এখনও কাউকে কোনো ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়নি। ত্রাণ দেওয়ার পূর্বে কিছু দাপ্তরিক নিয়মনীতি রয়েছে; সেসব যাচাই বাছাই সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।